পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৩ বালচিকিৎসা | নিঃসরণের জন্য য়্যামনিয়া, সিনিগ এবং স্কুইল সেবন করাইতে হইবে । শিশু যেমন আরোগ্য হইতে থাকিবে, উত্তেজক ঔষধের পরিবর্তে বলকারক (নং ১০৫) ঔষধ দেওয়া উচিত। কোষ্ঠবদ্ধ থাকিলে স্বল্প মাত্রায় হাইড্রার্জ ; কমৃ ক্রিটা পরমোপকারী। এ সময়ে গবাদির দুগ্ধ অত্যন্ত অহিতকর, বরং স্তনদুগ্ধ দোহন করিয়া পলিত্যা বা ছকিং বোতল দ্বারা সেবন করান উচিত । ബ ২ । নাস্যরক্তস্রাব । Epistaxis. কি শিশু কি যুবা, সকলেরই এই পীড়া হওয়া সম্ভব, কিন্তু বাল্যকালে ইহা সচরাচর হইয়া থাকে। কখনই ইহাকে কৌলিক ধৰ্ম্মাক্রান্ত হইতে দেখা যায়। কোন পরিবারের মধ্যে ক্রমান্বয়ে তিন পুরুষের এই পীড়া হইতে দেখা গিয়াছে এবং ভাবি সন্তানের যে উক্ত পীড়া হইবে না তাহারও প্রত্যাশা নাই । কোলিক ধৰ্ম্ম ব্যতীত আরও অনেক কারণে এই পীড়ার উৎপত্তি হয়, যথা— নাসিকায় আঘাত, শীতাদ (Scurvy), ধূম্র রোগ (Purpura), জ্বর, প্লীহা, যকৃৎ এবং মুত্রপিণ্ডের পীড়া জন্য শোণিতের বিকৃত ভাব, ইত্যাদি। উপরি উক্ত রোগ সমূহের অবর্তমানে রক্তস্রাব হইলে তাহা সামান্য পীড়া মধ্যে গণ্য করা যায়, ইহাতে কোন অপকণর হুইবার সম্ভাবনা থাকে না, বরং কখনই উপকার হইয়া, থাকে। প্লীহ, যকৃৎ ও বৃক্ককের পীড়া জন্য রক্তস্রাব হইলে উহাকে মৃত্যুর পূর্ব লক্ষণ বিবেচনা করিতে হইবে।