পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ඪ ෆ বালচিকিৎসা | শিশুর মৃত্যু লিখিয়াছেন । যৌবন ও বাল্যকালে ফুক্ষুন্ত্ৰপ্রদাহের সহিত ফুক্ষু বেষ্টের পীড়া একই পরিমাণে হইয়া থাকে, উপরে যে মৃত্যুর সংখ্যা প্রদত্ত হইল, তাহতে ফুফুসের প্রদাহ বিন্দুমাত্র ছিল না। এতদ্বারা স্পষ্ট প্রতীতি হইতেছে যে, ফুফুসের প্রদাহ বিহীন বক্ষোন্তর্বেষ্টেশষ বাল্যকালে অতি অলপ, কিন্তু কিঞ্চিৎ বিবেচনা করিয়া দেখিলে অনুমান হইবে যে, ইহার সাংঘাতিকত্ব অলপ নহে। কারণ। শৈত্য, আর্দ্রতা এবং যান্ত্রিক অপকার (Mechanical injury), এই ত্ৰিবিধ কারণে উক্ত পীড়ার উৎপত্তি হইতে পারে। অথবা পশুক ভগ্ন হুইয়া বক্ষোন্তবেষ্টের আঘাত হেতু রোগোৎপত্তির সম্ভাবন। লক্ষণ। বাল্য ও যৌবনকালে ইহার প্রধান২ লক্ষণ একই প্রকারে প্রকাশ পায় । এই পীড়া প্রায় সহসা আরম্ভ হইয়া উদরের’ উপরিভাগে বা বক্ষঃস্থলে বেদনানুভব হয় এবং কখন২ অতি সত্বরে জ্বর ও শিশুর অধিক বয়স হইলে কম্প হইয়া থাকে। বেদন প্রথম হইতেই অতি তীব্র ও চিরণবৎ (Lancinating) এবং শ্বাস-গ্রহণ বা অঙ্গ চালন কালে বৃদ্ধি ছয় । বমন প্রায় হয় না, কিন্তু তাছা হইলে বেদন অসহনীয় হয়। নাড়ী পূর্ণ ও দ্রুতগামী, শ্বাস প্রশ্বাস কষ্ট জনক, তাহাতে আবার কাশ হইয়া যন্ত্রণার বৃদ্ধি হয়। কিছু কাল অতীত হইলে বেদনার হ্রাস হয়, কিন্তু জ্বর, ঘনত্ব নিশ্বাস ও কাশ পূর্বের ন্যায় বলবৎ থাকে। ত্বক অত্যন্ত উষ্ণ ও শুষ্ক, নাড়ী কঠিন ও দ্রুতগামী, মুত্র স্বল্প, উগ্র বর্ণবিশিষ্ট ও অপেক্ষাকৃত গুরু ; অস্থিরতা ও ক্ৰন্দন প্রায় সতত