পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বক্ষোন্তর্বেষ্টেীষ । 80& এক.অঙ্গুলি স্থাপন করিয়া তাহতে প্রতিঘাত করিলে তরঙ্গমালার ন্যায় বক্ষের মধ্যস্থিত জল আন্দোলিত হুইবে । কিন্তু অধিক জল থাকিলে এরূপ হইবার সম্ভাবনা নাই। এই উপায় দ্বারা পীড়া যে নিশ্চয় আরোগ্য হইবে, তাছ। বলা যায় না, বরং এই ক্রিয়াতেই শিশুর মৃত্যু হওয়া সম্ভব। তবে এতদ্বারা অনেক শিশুর জীবন রক্ষা হইয়াছে, অতএব ঃপ্রাকার ভেদ করিবার হেতু গুলি নিম্নে প্রদর্শিত হইল। ১ । ঔষধে পীড় নিবারণ না হহয়। বক্ষোন্তর্দেষ্ট মধ্যে অধিক জল সঞ্চিত হইলে, তাছাতে মৃত্যু হইতে পারে । ২ । এই পীড়া অধিক দিন স্থায়ী হইলে ফুসফুসে গুটা সঞ্চয়, অথব। ঐ জল অবশেষে পূয়ে পরিণত হইয়া প্রবল জ্বর হইতে পারে, তাহীতে শিশুর অত্যন্ত দৌৰ্ব্বল্য হুইয়ু মৃত্যু হুইবার সম্ভাবন । ৩ । পড়া যত দিন স্থায়ী হইবে, আরোগ্য সম্ভবম ততই নষ্ট হইবে । বক্ষঃপ্রাকার কি প্রকারে ভেদ করা যায়, এক্ষণে তাছা ংক্ষেপে বর্ণিত হইতেছে। অস্ত্রোপচার করিবার পূর্বে একটি দীর্ঘ খাত বিশিষ্ট সুচিক দ্বারা পঞ্চমও ষষ্ঠ পশুকার মধ্যস্থল ভেদ করিয়া বক্ষোমধ্যে জল আছে কি না, অগ্ৰে দেখিতে হুইবে, তৎপরে ট্রোকার (Trocar) এবং ক্যামুলা (Canula) নামক অস্ত্র দ্বারা উক্ত স্থান বিদ্ধ করিয়৷ জল নির্গত করিতে হইবে। কখনই ঐ স্থানটি ফুফুসের সহিত দৃঢ়তররূপে বদ্ধ থাকে, তখন অন্য স্থান ੀনীত করিতে হুইবে । ফলতঃ যুবা ব্যক্তিদিগের যে প্রকারে বক্ষোভেদ করিতে হয়, শিশুদিগেরও সেইরূপে হইয় থাকে।