পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ বালচিকিৎসা। বেন যে, অকাল মৃত্যুর সংখ্যা অতি সহজেই হ্রাস করা যাইতে পারে। যেখানে বাৎসরিক ১৬০০ শিশুর অকালে প্রাণনাশ হইত, সেই স্থলে শিশুপালনের উৎকৃষ্টতর নিয়ম ংস্থাপন করাতে অধুনা পূর্ব সংখ্যা হইতে অনেকাংশে হ্রাস হইয়া ৪৫০ সংখ্যাতে পরিণত হইয়াছে । ইহাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে যে, ১৯৫০ সংখ্যক বালকের অকাল মৃত্যু কেবল স্ত্রী জাতির অজ্ঞতা ও অপালন দোষে ঘটিত । ইহা কি অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় নহে যে, বিবিধ অপরিহার্য্য হেতু সমূহে যত শিশুর অকালে মৃত্যু হয়, কেবল সৎপালনাভাবে তদ্বিগুণাধিক শিশু অকালে কাল গ্রাসে পতিত হয় ! স্ত্রী জাতির অজ্ঞতাদোষে যে কেবল শিশুর প্রাণ বিনষ্ট হয় এমনও নহে ; যাহারা অকাল মৃত্যু হইতে রক্ষা পায়, তাহারা রুগ্ন, চিররোগী, ও ক্ষীণবুদ্ধি হইয় অবশিষ্ট সময় অসুখে অতিবাহিত করে । পিত। মাত কাল সহকারে অপত্যনাশ-জনিত দুঃসহ-শোক বিস্মৃত হইতে পারেন, কিন্তু রুগ্ন সন্তানগণ যে র্তাহাদের যাবজ্জীবন কত অসুখ প্রদান করে তাহ অনুভব করা যায় না। শিশুদিগের অকাল মৃত্যু ও রুগ্ন শরীর হুইবার কারণ গুলি দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে। প্রথম, বালক মাতৃ গর্ভে থাকিয়া যাহা প্রসুতি হইতে প্রাপ্ত হয়। দ্বিতীয়, যাহা জন্মগ্রহণন্তে বাহ বস্তু হইতে সঞ্চিত হয়। আবার উভয় শ্রেণীস্থ কতক কারণ অপরিহার্ধ্য, (Unavoidable) অপর গুলি পরিহার্ষ্য (Avoidable)। প্রথম শ্রেণীস্থ কারণ কয়েকটি পশ্চাতে প্রদর্শিত হইল।