পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>b" w বালচিকিৎসা | ণাদি প্রদাহনাশক উপায় অবলম্বিত হইত। এক্ষণে চিকিৎসক মাত্রেই এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, রক্তমোক্ষণ, অতিরেচন, পারদ বা অবসাদক ঔষধ এ পীড়ায় মহানিষ্টকর। ভিন্ন২ সময়ে ইহার প্রবলতা ও স্বভাব ভিন্ন২ হইয়। থাকে, এই হেতু এক সময়ে যে ঔষধ মহোপকারী বলিয়া গণ্য হইয়াছে, আবার তাছাই অন্য সময়ে তত দূর উপকারী হয়'নাই । বাটিকা রহিত পরিষ্কৃত বায়ু এবং তালকহল (Alcohol) ংযুক্ত উত্তেজক ঔষধ প্রথম হইতেই অতি প্রয়োজনীয় । নাড়ীর অতিশয় চাঞ্চল্য এবং শারীরিক উষ্ণতার আধিক্য থাকিলেও উক্ত উত্তেজক, ঔষধ সেবন করাইতে অণুমাত্রও সন্দেহ করা উচিত নছে । বমন, শিরঃপীড়া ও মস্তক-ঘুর্ণন না থাকিলে কুইনাইন দুই এক মাত্রা দেওয়া যাইতে পারে। এবং তাছার কিঞ্চিং পরে মাংসের সূর্য, অও, ব্রাণ্ডি, প্রচুর দুগ্ধ ইত্যাদি যথা পরিমাণে দেওয়া উচিত। এই সকল ঔষধ ও আহারীয় দ্রব্য দিব। রাত্রি সেবন করাইলে নিদ্র। হইবার সম্ভাবনা, যদি না হয়, তবে তৃতীয় দিবসে উত্তেজক ঔষধের সহিত অহিফেণ বা মর্ফিয়া সংযোগ করা উচিত । ডাং ওয়েষ্ট বলেন, পীড়ার প্রারম্ভে শরীর অত্যুঞ্চ, জিহ্বা লেপযুক্ত এবং কোষ্ঠবদ্ধ হইলে ইপিকাক দ্বারা বমন এবং গ্রে পাউডার বা লবণাক্ত বিরেচক ঔষধ দ্বারা অন্ত্র পরিষ্কার করা কর্তব্য ; তৎপরে সাইটেট ও ক্লোরেট অব পটাস প্রভৃতি লবণাক্ত ঔষধ ৩ বা ৪ ঘণ্টান্তর সেবন করাইতে হইবে । কিন্তু এইরূপ চিকিৎসা অনেকে ভাল বাসেন না ;