পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুজিত কাশ। gఫి & মধ্যৰৰ্তী সময়ে লক্ষণ সকলের যে, কোন পরিবর্তন হয় ন৷ তাহা বলিতে পারি না, সুদূরদশী ব্যক্তি মাত্রেই অনায়াসে উক্ত পরিবর্তন অনুভব করিতে পারেন । পীড়ার দ্বিতীয়াবস্থা আরম্ভ হইলেও পূর্বোক্ত কতিপয় লক্ষণ সমভাবে বর্তমান থাকে, কেবল কণশ ও নিশ্বাসের পরিবর্তন হয়, এবং উক্ত পরিবর্তন ছয়ত সহুসা, নচেৎ ক্রমশঃ হয় । কাশ কি প্রকারে পরিবর্তন হয়, তাহ বর্ণন করা সহজ নছে ; র্যাছার উক্ত কাশ একবার শ্রবণ করিয়াছেন, তাহারাই বিশেষ জ্ঞাত আছেন। ইছা শুস্ক, উগ্র, কষ্টজনক, খনূখনে, ধাতু নিবৎ ; শ্বাস দীর্ঘ এবং পক্ষি-স্থনির ন্যায় সশব্দক ও তৎসঙ্গে নিশ্বাসের গতি দ্রুত হইতে থাকে। কাশের ন্যায় শ্বাস-গ্রহণশব্দ বর্ণন করা যায় না, তাহ একবার শ্রবণ করিলে ভুলিবর সম্ভাবন নাই । এই দুইটি লক্ষণ সহসা আরম্ভ হইলে প্রায় রজনীতে নিদ্রিতাবস্থায় হইয়া থাকে, শ্বাসরুচ্ছ এবং কখন২ শ্বাসরেণ । হুইয়া শিশু অকস্মাৎ জাগরিত হয়, এবং এরূপ কষ্ট প্রায় রজনীতেই হুইতে দেখা যায়। কাশের বেগ কিয়ৎকাল স্থায়ী হইলে প্রায় শ্বাসরোধ হয়। দ্বিতীয়বস্থায় যে, কেবল এই দুইটি লক্ষণ প্রবল হয়, এমত নহে। উগ্র জ্বর, নিশ্বাসের গতি বৃদ্ধি, শ্বাস-কছু চ উষ্ণ ও শুষ্ক, মুখমণ্ডল আরক্তিম, ঘন২ কাশ, নাড়ী পূর্ণ এবং দ্রুতগামী, শিশুর বিষন্নচিত্ত, উগ্র স্বভাব, পিপাসার বৃদ্ধি, জিহবা লেপযুক্ত ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায় । কাশের বেগ আইলেই শ্বাসকচ্ছের বৃদ্ধি, এবং মুখমণ্ডল লোহিতবর্ণ হয়। শ্বাসনলীর বায়ু-ধারণ-ক্ষমতা বৃদ্ধি করিবার নিমিত্ত শিশু পশ্চাদিগে