পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৩ r" বালচিকিৎসা | কাশ, শ্বাস গ্রহণকালে পক্ষিস্থনিবৎ শব্দ, প্রাদাহিক, জ্বর, এবং বক্ষের পুরোভাগের উচ্চতা ও পাশ্বদ্বয়ের সঙ্কোচ ইত্যাদি ইহার নির্ণায়ক লক্ষণ । কণ্ঠনলীদ্বার-প্রদাহের অনেক লক্ষণ ইহার সদৃশ, কিন্তু পূর্বোক্ত পীড়া প্রায় যুব। ব্যক্তিদিগেরই হইয়া থাকে। কণ্ঠনলীদ্বার-অক্ষেপ হইলে এই পীড়ার সহিত অনেক ভ্রম জন্মাইতে পারে, কিন্তু ইহাতে পূৰ্ব্ব বর্ণিত কাশ ও জ্বর থাকে না। আরক্ত জ্বরের সহিত বিশেষ প্রভেদ করিবার প্রয়োজন নাই । ভাবিফল এই পীড়া শিশুদিগের হইলেই বিশেষ আশঙ্কার বিষয় বলিতে হইবেক, কিন্তু পীড়ার প্রথমাবস্থায় চিকিৎসা করিলে শিশুগণও আরোগ্য হইতে পারে পীড়। প্রথম হইতে প্রবল হইয়। কাশের সহিত শ্লেয়া বা নির্গলিত ত্বক নিঃসৃত হইলে, কিম্বা কোন প্রকার উপসর্গের অবর্তমানে শিশুর জীবনী শক্তি প্রবল থাকিলে, পীড়া আরোগ্য হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবন। নলোষ বা ফুফুস-প্রদাহ উপসর্গরূপে প্রকাশ পাইলে, কিম্বা পীড়া প্রথম হইতে গুরুতর হইয়৷ শিশুকে দুৰ্ব্বল করিলে তাছা সাংঘাতিক হয়। মৃতদেহচ্ছেদ। কণ্ঠনলীদ্বার এবং কণ্ঠ ও শ্বাসনলীর শ্লৈয়িক ঝিল্লীর আরক্ততা, ক্ষত ও অপ্রকৃত ত্বকের দ্বারা আচ্ছাদন, এই তিনটির প্রাধান্য দেখা যায়, কিন্তু ত্বগাচ্ছাদন, সর্বত্র সমভাবে হয় না; কণ্ঠনলীদ্বারে তাছা যে পরিমাণে হয়, উক্ত স্থানের নিম্নভাগে অর্থাৎ কণ্ঠ বা শ্বাসনলীতে তত হয় না। পক্ষান্তরে উক্ত ত্বগাচ্ছাদনের বিস্তার প্রবণতা এত অধিক যে, কৈশিক-নলী পৰ্য্যন্ত তাহা অধিকার করে