পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&ు বালচিকিৎসা । সামান্য পীনসীয় লক্ষণ দেখা যায়। হাচি, নাসিক হইতে জলবৎ এবং শ্বাসনলী হইতে ফেণিল শ্লেষ্মা নিঃসরণ, কাশ, ক্ষুধামান্দ্য জ্বর, উদ্যমে অনিচ্ছ এবং অস্থিরতা, এই কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষণ । কিন্তু কখন২ শ্বাসনলী প্রদাছের লক্ষণ সকল অগ্রে উপলব্ধি হয়, কখন বা ইহাকে সামান্য সর্দির ন্যায় বোধ হয়, অথচ তাছা কিছুতেই নিবৃত্ত হয় না । কচিৎ প্রথম হইতে ইহাকে আক্ষেপিক হইতে দেখা যায়। যে রূপেই ছউক, পীড়ারম্ভ হইলেই কণ্ঠনলী-দ্বার ও কণ্ঠনলীর উত্তেজনাবশতঃ কাশের উদ্বেগ হয় এবং যে পৰ্য্যন্ত ঐ উত্তেজনা দূরীকৃত না হয়, সে পৰ্য্যন্ত ইছ নিবৃত্ত হয় না । সামান্য পীনসে ও কাশ থাকে, কিন্তু তাছা সহজে নিবৃত্ত হয়। সচরাচর এই পীনসীয় কণশ ৩ ছুইতে ১৫ দিন, কখন২ তিন সপ্তাহ বা এক মাস, ক্কচিৎ তদধিক দিন সমভাবে থাকিয়া আক্ষেপিক কাশ আরম্ভ হয়। এই অবস্থাতেও পীড়ার প্রকৃতি বুঝা কঠিন নছে, যেহেতু ইহাতে যে জ্বর ও অন্যান্য বিশেষ লক্ষণ প্রকাশমান হয়, তাহ অন্য পীড়ায় দেখা যায় না। কৈশিক নল আক্রান্ত না হইলে নলোষ রোগে যে জ্বর হয়, তাহ ৪৮ হইতে ৭২ ঘণ্টার অধিক থাকে না । এই রোগে যে জ্বর হয়, তাহ প্রায় ৮, ১০, ১২, বা ১৫ দিন পর্য্যন্ত থাকে। ২। দ্বিতীয়বস্থা বা আক্ষেপিক কাশ। প্রথমাবস্থায় কাশের আবেগ যত শীঘ্র হয়, তত এই অবস্থায় হইতে দেখা যায় না। প্রথমে কাশের আবেগ বড় দীর্ঘ হয় না, এবং পীড়ার যত বৃদ্ধি হয়, ১০ হইতে ২০ বার ক্রমান্বয়ে কাশ না