পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষয়কশ । • 8ჯუჯ হইতে দেখা গিয়াছে। শিশুদিগের ক্ষুধামান্দ্য ও শ্বাসকছু হইলে এই ব্যাধি হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । ফলতঃ যে কোন পীড়ায় শরীর দুর্বল হয় এবং পরিপোষণের হ্রাস জন্য পরিবৰ্দ্ধনের ব্যাঘাত জন্মে, তাহতেই ক্ষয়কাশ হুইবার সম্ভাবনা ৷ লক্ষণ । শিশু ও যুবা ব্যক্তির ক্ষয়কাশ হইলে লক্ষণ সকল ভিন্নাকারে প্রকাশ পায় এবং উভয়েতে পীড়ার গতি একই প্রকার হইলেও লক্ষণের বিভিন্নতা সৰ্ব্বদা দেখা যায় । স্পষ্ট গুটা সঞ্চার হওয়ার পূৰ্ব্বে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়, তদ্বারা পীড়ার প্রকৃতি উপলব্ধি হইবার সম্ভাবনা নাই। ক্ষুধামান্দ্য, তৈলাক্ত বস্তুতে নিতান্ত অস্পৃহা, অখাদ্য বা অনুপযুক্ত আহারে রুচি, শরীর কৃশ ও বিবর্ণ, সময়েই পাক কৃচ্ছ, অজীর্ণতা ও উদরাময়, ইত্যাদি লক্ষণ সৰ্ব্বাগ্রে দৃষ্ট হয়। কিন্তু ইছাদের বর্তমানে এই পীড়াকে ক্ষয়কাশ বলিয়া বোধ হয় না এবং অদূরদর্শী চিকিৎসকগণ নির্ণয়ক লক্ষণের অভাবে ইছার প্রকৃতি বুঝিতে পারেন না। উপরি উক্ত লক্ষণ সত্ত্বে . সময়ে২ শীতুবোধ, পদদ্বয় শীতল, কচিৎ ঘৰ্ম্ম, নাড়ীর চাঞ্চল্য, ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ হইলে রোগ-নির্ণয় পক্ষে সন্দেহ থাকে না | কিন্তু যুব ও শিশুর পীড়া হইলে কোন লক্ষণই যে, সমান হইবে না, তাছা বলা যায় না, বরং এই রূপ সমতা শিশুর বয়োবৃদ্ধি সহকারে হইয়া, থাকে। শৈশব কালে পীড়া · হইলে কেবল কয়েকটি লক্ষণ থাকে না, যথা– ফুফুস হইতে রক্তস্রাব ও শ্লেষ্মা নিঃসরণ প্রায় হয় না, কণশ অতি সামান্য হয়, এবং দৌৰ্ব্বল্যকর ঘৰ্ম্ম হইতে দেখা য়ায় না। §