পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষয়কাশ । ৪৩৭ কল্য তাহাতে বিনা কারণে অতি সহজে বায়ু প্রবেশ করিতে পারে ; এই হেতু অদ্য যে পার্শ্বে শ্বাসম্বনি অতি ক্ষীণ, কল্য তাহাতে উহা অতি উচ্চ হইতে পারে। অতএব ইহা স্মরণ রাখা উচিত যে, কোন পাশ্বের শব্দের হ্রস্বতা বা উচ্চতামুসারে পীড়ার প্রকৃতি বুঝা যায় না। প্রতিঘাত দ্বারা যে সকল শব্দ শুনা যাইতে পারে, শিশুদিগের বক্ষঃপ্রাচীর কোমল হওয়াতে তাছার সূক্ষমাংশ উপলব্ধি হয় না, ইহার কারণ এই যে, স্বল্প প্রতিঘাতেও সমস্ত যন্ত্র আন্দোলিত হইয়া থাকে । উপরি উক্ত ভৌতিক পরীক্ষার ফল দ্বারা পীড়ার প্রকৃতি জানা অতি কঠিন, কিন্তু দুই অংসফলকাস্থির মধ্য প্রদেশে সগৰ্ভ শব্দ এবং তৎসঙ্গে ফুফুসের উৰ্দ্ধভাগে বায়ু গর্ভ শব্দ (Resonance) পাইলে, শ্বাসনলীয় গ্রন্থিতে গুটী সঞ্চার অনুভুত হইবে , প্রথমোক্ত স্থানে সগৰ্ভ শব্দ না থাকিলেও শ্বাসনলীয় গ্রন্থি আক্রান্ত হইতে পারে, কেবল উক্ত লক্ষণের অবর্তমানে গ্রন্থিসকল অলপ পরিমাণে আক্রান্ত হইয়াছে, বিবেচনা করিতে হুইবে । প্রকার। (১) পুরাতন 'পীড়া । যে সকল সাধারণ ও ভৌতিক লক্ষণ উল্লেখ করা হইল, তাছ। সচরাচর পুরাতন রোগেই দেখা যায়। এই পুরাতন পীড়া শৈশব শরীর এরূপ অনবধানে অধিকার করে যে, প্রস্থতি বা পিতা বহুকাল পর্যন্ত পীড়ার প্রকৃতি অনুভব করিতে পারেন না। প্রথমে হাম বা সর্দি হইয়া শিশু সময়ে২ কাশিতে থাকে, কিন্তু এই কাশ বলবৎ না হওয়ায় উহার প্রতি মনোযোগ করা হয় না ।