পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষয়কণশ । 845 ৭। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে কাহার২ মোছক জ্বরের ন্যায় লক্ষণ সকল প্রতীয়মান হয় । চিকিৎসা। বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তির ও শিশুর ক্ষয়কাশ হইলে ব্যাধি লক্ষণের যে রূপ প্রভেদ দেখান হইয়াছে, তাহ এ স্থলে দেখাইবার সম্ভাবনা নাই । ফলতঃ উভয়ের পীড়া হইলে একই নিয়মে চিকিৎসা করা কর্তব্য । পিতা মাতার পীড়া থাকিলে সন্তানগণও রোগগ্রস্ত হইতে পারে, এইটি স্মরণ রাখিয়া শিশুপালনের প্রতি বিশেষ মনোযোগ করিতে হুইবে । সবল সুস্থ জননী বা পালয়িত্রীর স্তন্যপান, পরিস্কৃত বায়ু সেবন, নিয়মিত ব্যায়াম, বায়ু চলাচল গৃহে বাস, ফুনেলাদি উষ্ণ বস্ত্র পরিধান ইত্যাদির প্রতি বিশেষ মনেযোগ দেওয়া উচিত। পুরুষানুক্রমে এই পীড়া থাকিলে প্রসুতি শিশুকে কদাপি স্তন্যপান করাইবেন না, শিশুর সামান্য অসুখ হইলেও যার পর নাই, যত্ন করিবেন এবং স্পর্শক্ৰামক রোগ বিষ শৈশব শরীরে যাছাতে কোন রূপে প্রবিষ্ট না হয় তদুপায় অবলম্বন করিতে ক্ষণ মাত্র বিলম্ব করিবেন না। ক্ষয়কাশগ্রস্ত কুলোদ্ভব শিশুর ছপৃশব্দক কাশ, উদরাময়, স্ফোটক জ্বর বা পনস অত্যন্ত প্রবল হইলেও অবসন্নকর ঔষধ দেওয়া নিতান্ত অবিধি। মানবজাতির ন্যায় গৃহপালিত পশুজাতিরও ক্ষয়কাশ হইতে পারে, অতএব ব্যাধিগ্রস্তু পশুর দুগ্ধ শিশুকে দেওয়৷ কর্তব্য নহে । এই পীড়া যে রূপে বর্ণিত হইয়াছে, তাহাতে স্পষ্টবোধ হইবে যে, শোণিত বিকার ও পরিপোষণ ক্রিয়ার ব্যতিক্রম