পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৭৩ বালচিকিৎসা | সুতরাং চিকিৎসাও নিয়মিত রূপে হয় না। এক্ষণে হৃদ্রোগ হইবার কারণ গুলি একে২ বর্ণিত হইতেছে। ১ । বাত জ্বরকালে গ্রস্থির বেদন ও স্ফীতত থাকিলে বাভরোগ হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। অনেক সময়ে এই সকল লক্ষণ এত অলপ পরিমাণে প্রকাশ হয় যে, বিশেষ যত্ন না করিলে পীড়ার প্রকৃতি উপলব্ধি হয় না। আশ্চৰ্য্য এই যে, বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তির বাতরোগান্তে হৃদ্রোগের উৎপত্তি হয়, কিন্তু শিশুদিগের ইহার বিপরীত ভাব কখনই দেখা যায়, অর্থাৎ বাতরোগের লক্ষণ সকল প্রকাশমান হইবার পূর্বে হৃদ্রোগের লক্ষণ প্রবল হইতে পারে। এই বাতরোগের ঈষন্মাত্র লক্ষণ উপলব্ধি হইলে, যার পর নাই, শিশুর প্রতি যত্ন করা কর্তব্য । ২। আরক্ত জ্বর। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, এ দেশে তারক্ত জ্বর অতি বিরল, সুতরাং হৃদ্রোগের এই কারণ সৰ্ব্বদা দেখা যায় না । আরক্ত জ্বরের প্রথমে এই রোগ ছয় না, বরং উছার অন্তে শলেকাথান সময়ে তাহ সংঘটন হুইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবন । , ৩। হাম ও মোহক জ্বর। এই দুই পীড়ার অন্তে হৃদ্রোগ হইতে পারে। ফলত উপরে যে সকল পীড়ার উল্লেখ হইল, সে সমস্ত রোগে শোণিত বিকৃত হয় এবং বিকৃত শোণিত হৃৎপিণ্ডে চালিত হইয়া যে, তাহতে প্রদাহোৎপন্ন করিবে, তাছার আশ্চৰ্য্য কি ? ৪। জন্মাবধি হৃৎপিণ্ডের অঙ্গ-বিকৃতি । হৃৎপিণ্ডের অঙ্গ-বিকৃতি হইলে তাছার আবরণী ও কপাট প্রদাহ-গ্ৰস্ত