পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুপালন । S ፃ যে জ্বর হয় তাহার উপশমান্তে ঐ দুগ্ধ অপেক্ষাকৃত শ্বেতবর্ণ ও গাঢ় হয় । সন্তান ভুমিষ্ঠ হইলে কিয়ৎক্ষণ পরে তাহার ক্ষুৎপিপাসার উদ্দীপন হয়, তখন তাহাকে স্তনপান করান অত্যাবশ্যক, বিশেষতঃ ঐ নবসুতিক দুগ্ধ উদরস্থ হইলে হরিদ্বর্ণের বৃক্ষনির্যাসবৎ যে এক প্রকার মল (Meconium) থাকে তাহা রেচন দ্বারা বহির্গত হয়। কিন্তু কখন কখন প্রসুতি প্রসববেদন হেতু এত দুর্বল হন যে, শিশুর ঐ অভাব মোচন করিতে অত্যন্ত ক্লেশামুভব করিয়া থাকেন। এ স্থলে যে পৰ্য্যন্ত মাতার যথেষ্ট বলাধান না হইবে, তদবধি কিঞ্চিৎ শর্করা উষ্ণ জলে মিশ্রিত করিয়া দুই ঘণ্টা অন্তর সেবন করাইতে হুইবে । তৎপরে দুই তিন ঘণ্টা অন্তর শিশুকে স্তন্যপান করান কৰ্ত্তব্য । কোন কোন ইয়ুরোপীয় চিকিৎসক ২৪ কিম্ব ৪৮ ঘণ্টা পৰ্যন্ত মাতৃ-দুগ্ধ সেবন করাইতে নিষেধ করেন, আর অস্মদেশীয় স্ত্রীগণ তিন দিরস গত ন হইলে স্তনদুগ্ধ দেন না । এ প্রথাটি নিতান্ত ভ্ৰমাত্মক এবং শিশুর পক্ষে, অত্যন্ত অনিষ্টকর তাহীর • সন্দেছ নাই । -میجہ শীত-প্রধান দেশে প্রসবান্তে দ্বিতীয় দিবসে যাহা স্তন হইতে নিঃসৃত হয় তাহাকেই সাধারণে দুগ্ধ কছে । উষ্ণপ্রধান দেশে দুই কিম্ব তিন দিবস গত না হইলে ইহা নিঃসৃত হইতে দেখা যায় না, অতএব ভারতবর্ষীয় মহিলাগণের প্রতি বক্তব্য এই যে, তাহারা স্তনে দুগ্ধ সঞ্চয় হয় নাই বলিয়া শিশুকে স্তন্যদানে বিরত হইবেন না, বরং প্রয়োজন হইলে ෆ