পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ বালচিকিৎসা । দেওয়াতে অনেকে শিশুর বহুবিধ অনিষ্ট আশঙ্কা করিতে পারেন, কিন্তু উক্ত নিয়মে আবদ্ধ হইলে শিশুর অনিষ্ট হওয়া দূরে থাকুক, ইহাতে র্তাহার। ত্ৰিবিধ উপকার প্রাপ্ত হইবেন। প্রথম, প্রকৃত সময় আসিলে শিশুকে স্তন্য ত্যাগ করাইতে পরিবেন । দ্বিতীয়, ঐশ্বৰ্ষশোলিনী কামিনীগণ অচ্ছেদ্য দীর্ঘ নিদ্রা ভোগ করত অরোগিণী হইয়া কালাতিপাত করিতে পরিবেন । তৃতীয়, নিদ্রিতাবস্থায় ভক্ষিত দ্রব্য অধিক কালে পরিপাক হয়, সুতরাং অধিক কাল অন্তর স্তনপান করাইলে অজীর্ণ হইবার আশঙ্কা থাকিবে না। সুতি মাস গত হইলে রাত্রিতে স্তন্যদান করা উচিত নহে, অর্থাৎ দশ ঘটিক হইতে প্রাতঃকাল পর্য্যন্ত যে তিন বার মাত্র স্তনপান করাইতে বিধি করা হইয়াছে, তাহা ক্রমশঃ স্থগিত করিতে হইবে। প্রস্থতির দীর্ঘ নিদ্রা না হইলে স্তন দুগ্ধ অতিশয় বিকৃত হইয়া শিশুর রোগোৎপত্তির কারণ হইবে। শিশুপালনের ব্যবস্থা যে প্রকারে কথিত হুইল তাছা প্রযত্নাতিশয়ে পালন করা কর্তব্য। এই সময়ে মাতৃদুগ্ধ ভিন্ন অপর ভক্ষ্য দ্রব্য যেন কদাচ দেওয়া না হয়। তৃতীয়-কাল । ছয় মাস গত হইলে যদি স্তনাঙ্ক প্রচুর পরিমাণে নির্গত হয়, ঐ দুগ্ধে বালকের কোন রোগ উৎপত্তি না হয় এবং ঐ দুগ্ধ দানে প্রস্থতির স্বাস্থ্য বিনষ্ট না হয়, তাহা হইলে জননী আরও কিছু দিন পূর্কেত নিয়মের অধীন হইবেন । কিন্তু এই সময় হইতে দুই একবার গবাদির দুগ্ধ জল মিশ্রিত করিয়া শিশুকে পান করাইলে কোন রোগোৎপত্তি হইবে না। এতদ্বতীত সাগো, য়্যারো