পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७ ) দেখেছি। স্বপ্নে স্বগীয় মহারাজ দেখা দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন“তুমি ত আমার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হয়েছ, কিন্তু আমার আত্মার পরিতৃপ্তির জন্য কি করছ? আমার আত্মা যে কেবল অস্থির হয়ে বেড়াচ্ছে, কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না।” আমি উত্তর দিলুম-“তার ব্যবস্থা আমরা করছি। আমরা সেনা সংগ্ৰহ করেছি, সেই রাজার বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্যে, তাকে উপযুক্ত সাজা দেবার জন্যে।” এ কথা শুনে তিনি যেন আরও চঞ্চল হয়ে উঠে বল্লেন-“না, না, প্ৰতিশোধ আমি চাই না, তাতে আমার আত্মা তৃপ্তি পাবে না, শান্তি পাবে না।” আমি তখন বল্লাম-“তবে আপনার ইচ্ছা কি ? আমাদের কি করতে বলেন ?” তিনি গম্ভীর স্বরে ‘উত্তর দিলেন- “যদি আমার আত্মার কল্যাণ কামনা করি, তবে যে কাজ আমি সুরু করেছিলাম, সেটা শেষ কর । তাতে আমার আত্মা প্ৰকৃত তৃপ্তি পাবে।” এই বলে স্বৰ্গীয় মহারাজ অদৃশ্য হয়ে গেলেন, স্বপ্নও ভেঙে গেল। সকালে উঠে এই স্বপ্নের কথাই প্ৰথমে মনে হয়েছে। তাই আজকের দরবারেরও প্রথম কাজ হবে।--সেই স্বপ্নের নিদিষ্ট কাজটা সাধন করা । মন্ত্রি, সে কাজটা কি বুঝতে পেরেছ-যা মহারাজ। ঈঙ্গিত করে গেছেন ?” “বুঝেছি মহারাজ, সেই পণ্ডিতকে এদেশে নিয়ে আসা।” “তা হলে এখন কি কৰ্ত্তব্য ঠিক করা। কাকে এ কাজের ভার দিয়ে পাঠান যায় ?” “সেই তা সমস্যা, মহারাজ ?”