পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচার-চন্দ্ৰোদয় । V. (t তখন ইহা তাহদের অন্ধতা ; ইহা আমি জানি এবং যখন ইহারা স্বল্পমাত্র বিষয় গ্ৰহণ করে, তাহা ইহাদের মন্দপনা ; তাহাও আমি জানি। আর যখন বিষয়ের স্পষ্ট গ্ৰহণ করে, তাহা ইহাদের পটুপন ; ইহাও আমি জানি। এই হেতু ইহা আমি নই এবং ইহা আমার নয়। ইহা ইন্দ্ৰিয়ের ধৰ্ম্ম । আমি ইহাদের জ্ঞাতা ও দ্রষ্টা। এজন্য পৃথক। এইরূপে দেখা গেল সূক্ষ্মী শরীরের দ্রষ্টা আমি । কারণশরীরের দ্রষ্টা আমি । প্ৰঃ । কারণ শরীর কি ? উঃ । পুরুষ যখন সুযুপ্তি হইতে উখিত হয়েন, তখন বলেন “আমি আজ কিছুই জানিতে পারি নাই” ( কতই নিদ্রা গিয়াছি) । ইহাই সুষুপ্তিকালের অজ্ঞান। [ “কিছুই জানি না” সুপ্তোখিত পুরুষের এই জ্ঞান থাকে। এ জ্ঞান কিন্তু অনুভবরূপ। ইহা সুষুপ্তিকালে অনুভূত বিষয়ের অজ্ঞানতার স্মৃতি । ] পুনশ্চ, জাগ্ৰাৎকালে যখন বলা যায় আমি ব্ৰহ্মকে জানি না, আমি আমার নিজের খবর জানি না-এই ‘জানি না” “জানি না” রূপ অনুভবএই অনুভবের বিষয় অজ্ঞান । পুনশ্চ, স্বপ্নের কারণ নিদ্রারূপ অজ্ঞান। এই অজ্ঞানের নাম কারণদেহ। [ অজ্ঞানই স্কুল সুন্ম দেহের হেতু। এজন্য ইহাকে (অবিদ্যা) কারণ বলে । তত্ত্বজ্ঞান হইলে অজ্ঞানের দাহ হয়, এজন্য ইহাকে দেহ বলে। এই অজ্ঞান গভমন্দিরের অন্ধকারবহু ব্রহ্মের আশ্রিত হইয়াও ব্ৰহ্মকেই আবৃত করে। ] । প্ৰঃ । কারণদেহ “আমি” নাহি বা “আমার” নহে, ইহা কিরূপে জানা যায় ?