পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচার-চন্দ্ৰোদয় হয় না। কাজেই দেহের মধ্যে যে চৈতন্যকে তুমি জীব চৈতন্য বলিতেছ তাহা স্বরূপে সেই পুৰ্ণ চৈতন্যই। এই হেতু যে আত্মা জীব দেহে আসিয়া বদ্ধ জীব মত দেখা যাইতেছে সেই আত্মাই স্বরূপে নিগুণ, তটস্থে বিশ্বরূপ, এবং জগৎ বিপৰ্য্যয়ে অবতার। তবেই হইল তোমার উপাস্য যিনি তিনি DLDBDBDS S SuBB DOBD BDDS BB DBDDSDDB DBDBD D BDBDBS যাহা কিছু উপাসনা তাহা আত্মারই উপাসনা । ‘শ্রুতি ও বলেন म योऽन्यमात्मनः प्रियं ब्रुवाणं ब्रूयात् प्रियं रोत्स्यतीति” বৃহ ১ অধ্যায় ৪ ব্রাহ্মণ ৮ শ্লো । যে ব্যক্তি আত্মা ভিন্ন অন্যকে উপাসনা করে, তাহাকে ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বলিবেন তুমি বিনাশপ্ৰাপ্ত হইবে । এই সত্যটুকু সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখা আবশ্যক। এই চৈতন্যটি কোন পদার্থ, দেহের মধ্যে ইনি কখন কিরূপ থাকেন, তৎপরে তাহারও বিচারও চাই । মায়ার যেমন ৩িন অবস্থা, আমাদের মনেরও সেইরূপ তিন অবস্থা । মায়ার অব্যক্ত অবস্থাটি কারণ শরীর, সঙ্কল্প অবস্থাটি সুন্ম শরীর এবং পরিদৃশ্যমান এই জগৎটি স্থূল শরীর। এই তিন শরীরে যে চৈতন্য খেলা করেন তিনি সগুণ ব্ৰহ্ম, হিরণ্যগৰ্ভ ও বিরাট । জীবাত্মাও এইরূপে জাগ্ৰাৎ, স্বপ্ন ও সুষুপ্তিতে খেলা করেন। আবার সাধনা দ্বারা ইনিই তুরীয় অবস্থা লাভ করিয়া আপনি আপনি ভাবে স্বরূপে স্থিতি লাভ করেন । আমরা বলিতেছি আমাদের উপান্ত যিনি তিনি চেতন । তিনি জড় নহেন। শিব, রাম, কৃষ্ণ, কালী, দুৰ্গা-এই মূৰ্ত্তিগুলি চৈতন্যেরই মূৰ্ত্তি । আবার চৈতন্যের যখন খণ্ড হয় না। তখন আমার উপাস্যের মূৰ্ত্তি যাহা তাহা, অখণ্ড হইয়াও খণ্ড মত প্ৰতীয়মান আত্মারই মূৰ্ত্তি। শ্ৰীকৃষ্ণকে যদি আমার আত্মার মূৰ্ত্তি না বলিতে পারি, তবে শ্ৰীকৃষ্ণকে ভালবাসা যায় না। তবে এইখানে এই বলা যায় যে আমি, কি এক মোহে আচ্ছন্ন হইয়াই যেন আমাকে-আমার ভিতরে অনুভূত চৈতন্যকে