পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

frtist-Certis শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য হইতে পৃথক মনে করিয়াই কষ্ট পাই। ব্যষ্টি, আপনাকে সমষ্টি হইতে বিচ্ছিন্ন ভাবিয়াই পুনঃ পুনঃ জনন-মরণরূপ দুঃথ পাইতেছে। এই দুঃখ নিবৃত্তি জন্যই খণ্ড মত চৈতন্য যিনি তঁহাকে অখণ্ড কৃষ্ণ চৈতন্য বা রাম চৈতন্য বা কালী চৈতন্যের উপাসনা করিতে হইবে । ইহারই ক্রম হইতেছে “আমি তোমার” “তুমি আমার” এবং “তুমিই আমি” ৷ প্রতিদিনের সাধনায় ভূতশুদ্ধি করিয়া, ক্ষিত্যাদি পঞ্চভূতের পচিশ তত্ত্ব পঞ্চভুতকে ভাবনাতেও ফিরাইয়া দিতে অভ্যাস করিলে যিনি অবশিষ্ট থাকেন। তিনি জীব উপাধিধারী আত্মা হইয়াও পূর্ণ আত্মা । সকল ভূতের সকল বস্তু ভূতাদিগকে দিয়া দিতে পারিলেই আত্ম দৰ্শন হয় । যদিও আত্মদর্শন হয় তথাপি বহুকাল উপনেত্ৰ ব্যবহারে নাসিকাতে যেমন একটা দাগ পড়ে-চসমা খুলিয়া রাখিলেও বহুদিন পৰ্য্যন্ত ব্যবহার করা হইয়ছিল বলিয়া একটা দাগ যেমন থাকে। সেইরূপ সাধের কাজল স্বরূপ এই দেহ ধারণ করা হইয়াছিল বলিয়া আত্মাতে যেন একটা সংস্কারের দাগ থাকে। তুমিই আমি এই অপরোক্ষ জ্ঞান হইলে তবে এই দাগ মুছিয়া যায়। ইতা লাভ করিবার জন্য প্ৰত্যহ আত্ম-নিবেদন করা চাই । সৰ্ব্বদা স্মরণ রাপা চাই আমি তোমার। কাজেই আমার ইচ্ছায় আর কিছুই যেন করিতে পারা যায় না। যাহা কিছু ইচ্ছা জাগে তাহ ধরিয়া বলিতে হয়।-এই ইচ্ছামত কাৰ্য্য কি করিব ? এইরূপে প্ৰতি ভাবনা, প্ৰতি বাঘকা এবং প্ৰতি কাৰ্য্য যখন তাহাকে জানাইয়া করিবার অভ্যাস পাকা হইয়া যায়। তখন “আমি তোমার” সাধনা পূর্ণ হয়। “আমি তোমার” এই সাধনা ব্যবহারিক জগতে প্ৰয়োগ করিতে করিতে যখন প্ৰতি বিপদে, প্ৰতি দুঃখে, তোমার আগমন বুঝিতে পারা যায়, যখন বিপদে পড়িয়া ডাকিলেই তুমি আসিয়া চক্ষের