পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়। পার্থিব হইলেও এই বিষাদ যোগেও প্ৰকৃত যোগের সমস্ত লক্ষণ প্ৰকটিত হয় এবং একটু বিচারেই ইহা হইতেও জীবন্মুক্তি লাভ হয়। এক ঋষিপুত্রীর এই বিষাদ যোগ সাধিত হইয়াছিল। প্ৰথম নয়ন ভঙ্গিতে অনুরাগ জন্মিল। এই অনুরাগ দিন দিন বাড়িয়া উঠিল, এই অনুরাগ প্ৰবল হইয়া আত্মবিস্মৃতি ও ঘটাইতে লাগিল। ঋষিপুত্ৰী বিষাদ যোগে আক্রান্ত হইয়াছেন। চিত্ত হইতে পিপাসা ছোটে না । ভুলিতে চেষ্টা করিলেও ভোলা যায় না । বরং প্ৰবল বেগে আক্ৰমণ করে । পুনঃ পুনঃ আবৃত্তিতে যোগ অভ্যস্ত হইল। অঙ্গ অবসন্ন হইল। সখীগণ নির্জনে লইয়। গিয়াছে। ঋষিপুত্রী নূতন কিশলয় শয্যায় শয়ন করিলেন, গাত্ৰজ্বালা নিবারণ হইল না । সখীগণ পদ্ম পত্রের মৃণাল বিছাইয়া দিল, পদ্মপত্র দ্বারা বীজন করিল, শেষ রাজপুত্রীর শ্বাস বহিতেছে কিনা শঙ্কা জন্মিল। এই বিষাদ যোগ অভ্যাসের পর আকাজক্ষা পূৰ্ণ হইল। যখন রাজা ও রাজপুত্রের বিষাদ ষোগ তুল্লভ নহে, তখন দরিদ্রের বিষাদ যোগ ত নিতাই আছে । শরীরের দিকে চাহিয়া দেখ, ইহার নিত্যুরোেগ ; সংসারের দিকে চাহিয়া দেখ, ইহার নিত্য অভাব , সমাজের দিকে চাহিয়া দেখ, তোমার উপর অত্যাচারও বিরল নহে-এতদ্ভিন্ন ধন্যবানের কটাক্ষ, বিদ্বানের অবজ্ঞা, অহঙ্কারীর ঘৃণা-অৰ্থহীনের প্রতি ংসারের নির্দয় ব্যবহার নিত্যই আছে। মৃত্যুর দিকে চাহিয়া দেখ, তোমার প্রিয়বস্তু তোমার সমক্ষে ছটফট করিয়া মরিবে, তুমি শত কাতর হইলে ও কেহ তোমার কাতরতীয় কৰ্ণপাত করিবে না । দরিদ্রের বিষাদের অভাব কোথায় ? কিন্তু দরিদ্র বিষাদকে যোগ বলিয়া ভাবে না । গরিব অল্পেই দুঃখ করে, আবার অল্পেই আনন্দ করে। কিছু পাইলেই অবশ্য বড়ই সন্তোষ প্ৰকাশ করে, আর কিছু গেলেই বড় বিষাদ করে। যদি দুই দশ লক্ষ লাভ হয়, বেচারা আনন্দে দিশেহারা হইয়া ষায় ; আবার যদি একটি