পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o दि5ांझ-5वांग ब्र । এবং মন, বুদ্ধি, চিত্ত, অহংকার এই চারি অন্তরেন্দ্ৰিয় । ‘কলাতীত” অর্থে অধিষ্ঠান চৈতন্য । ওঁকারের উত্তরাদ্ধ হইতেছে অৰ্দ্ধমাত্ৰা । ইহারই অন্তর্গত নাদ বিন্দু শক্তিও শান্তাখ্য ভাগ। “ওঁকারাধেহিৰ্দমাত্ৰান্তঃ শান্তিনিঃশেষ মানসঃ” যো. বা. নি, উত্তর ৭১ সৰ্গ ২ । ওঁকারের চতুস্পাদ হইতেছে বিশ্ব, তৈজস, প্ৰাজ্ঞ ও তুরীয়। শ্রুতি এই চতুস্পাদকে অবিদ্যাপাদ, বিদ্যাপাদ, আনন্দপাদ, এবং তুরীয় পাদ ও বলেন। নিত্যস্বাধ্যায় ৩৫ পৃঃ দেখ। তুরীয়পাদে কোন প্রকার চলন নাই, কোন প্রকার গতাগতি নাই বলিয়া ওঁকার ত্ৰিস্থান অর্থাৎ জাগরিত স্থান, স্বপ্নস্থান ও সুষুপ্তি স্থান। স্থান বলে অভিমানের বিষয় কে। আত্মা বা ওঁকার জাগ্ৰাৎ, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি এই তিন অবস্থায় অভিমান করেন। ওঁ হইতেছেন পঞ্চ দেবময়। “ব্ৰহ্মা বিষ্ণুশ্চ রুদ্রশচ ঈশ্বর শিব এব চ। পঞ্চাধা পঞ্চ দৈবত্যঃ প্ৰণবঃ। পরিপঠ্যতে” । অথর্বশিখোনিষৎ । ওঁকারকে যিনি না জানেন তিনি আবার ব্ৰাহ্মণ কিরূপে ? এক কথায়, স্বরূপে ঔকার হইতেছেন। পরমপদ, পরামব্যোম, পরব্রহ্ম। আর তটস্থে ইনি সৃষ্টিস্থিতি লয়কারিণী । অনন্ত কোটি ব্ৰহ্মাণ্ড ইহার শরীর। শরীর। ইহাকে জানে না । ইনি সৰ্ব্বশরীরকে প্রেরণা করেন। সৃষ্টি যখন থাকে না তখন ইনি নিগুণ ব্ৰহ্ম। সৃষ্টি হইয়া গেলে ইনি সমষ্টিভাবে সগুণ বিশ্বরূপ আর ব্যষ্টিভাবে জীবে জীবে আত্মা । আবার সৃষ্টি বিপৰ্য্যয়ে ইনি নানা অবতার। ওঁকারের যে বৰ্ণ তাহা হয় শব্দ হইতে । ইনি শব্দব্ৰহ্ম । যেখানে স্পন্দন বা চলন সেখানে শব্দ থাকিবেই। আর যেখানে শব্দ সেখানে বর্ণের রেখাপাত আছেই। এজন্য তটস্থ ওঁকারকে শক্তি বলা হয়। শক্তি পঞ্চাশাৎ বর্ণময়ী। বর্ণের মালা ইহঁহার গলে ।