পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o दि5ांद्ध-50वां । নিরুপাধিক পদ ইহাই । যতদিন অনাহতধবনি শুনা যায় ততদিন আকশের মত হইয়া থাকা হয় । আকাশের গুণ শবদ ৷ গুণ শুনিতে শুনিতে গুণীর ভাব আসিয়া যায়। কিন্তু মনের লয় হইয়া গেলে ষে নিঃশব্দ ভাব তাহাই পরমাত্মা । নাদ যাহা শুনা যায় তাহাই শক্তি। নাদের লয় যেখানে তাহাই নিরাকার পরমাত্মা । হঠঃ প্ৰাণাপানিয়োরৈক্য লক্ষণঃ প্ৰাণায়ামঃ হঠের উপায় হইতেছে আসন কুম্ভক মুদ্রাদি । আর লয়ের উপায় হইহইতেছে নাদানুসন্ধান, শাম্ভাবী মুদ্রাদি । রাজযোগ হইতেছে মনের সর্ব বৃত্তির নিরোধ লক্ষণ। রাজযোগ সিদ্ধি জন্য হঠোপায়, আর লয়োপায়ই প্ৰশস্ত। যিনি রাজযোগ সম্যকরূপে প্ৰাপ্ত হইলেন তিনিই মৃত্যুজয় করিয়া অবস্থান করেন । তত্ত্ব হইতেছে চিত্ত। এখানে পরমাত্ম তত্ত্বের কথা বলা হইতেছে না। চিত্ত হইতেছে উন্মনী অবস্থার বীজ। অর্থাৎ বীজবৎ উন্মনী অবস্থার অন্ধুরীরূপে পরিণাম প্ৰাপ্ত হয় বলিয়াই ইহা বীজ । হঠ-বা প্ৰাণায়াম হইল ক্ষেত্র। ঔদাসীন্য অর্থাৎ পরাবৈরাগ্য হইতেছে জল । এই তিনের দ্বারা উন্মনী কল্পলতিকা শীঘ্রই উৎপন্ন হয়। প্ৰাণবায়ু মধ্যমাৰ্গ অর্থাৎ সুষুম্নার মধ্যে বিচরণ করিয়া যতদিন না ব্ৰহ্মরন্ধ পৰ্য্যন্ত গমন করে। --অর্থাৎ ব্ৰহ্মরন্ধে, গিয়া যতদিন না স্থিরতা লাভ করে ; প্ৰাণবায়ু কুম্ভকের দ্বারা স্থির হইয়া যতদিন না বিন্দু বা বীৰ্য্য স্থির করে “মনঃ স্থৈৰ্য্যে স্থিরো বায়ু স্ততে বিন্দু: স্থিরোেভবেৎ” যতদিন না চিত্ত ধোয় বস্তুতে তদাকারকারিত সহজসদৃশ হয় ততদিন পৰ্য্যন্ত যে সমস্ত জ্ঞানের কথা উচ্চারণ করা হয়, তাহ দম্ভমিথ্যা প্ৰলাপ মাত্র। “তাবদ যজজ্ঞানং শাব্দং বদতি কশ্চিৎ তদিদং জ্ঞানং কথং ? দম্ভমিথ্যা প্ৰলাপঃ দম্ভেন জ্ঞান কথনেনাহং লোকে পুজ্যো ভবিষ্যামীতি ধিয়া মথ্যা প্ৰলাপো মিথ্যাভাষণং দম্ভপূর্বকং মিথ্যাভাষণমিত্যর্থঃ ॥