পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

85 বিচার-চন্দ্ৰোদয় । স্বপ্ন দর্শনও থাকে না । সেই জন্য বলা হইল পুরুষ এই সুষুপ্তিকালে কোন বিষয় ভোগ ইচ্ছা করেন না এবং কোন বাসনা ও তুলেন না । সুষুপ্তি অবস্থাই ইহঁর স্থান-অৰ্থাৎ এই অবস্থায় ইনি অধিষ্ঠান করেন বলিয়া বলা হইল ইনি সুষুপ্তি স্থান। স্থান দ্বয় প্রবিভক্তং মনঃস্পন্দিতং দ্বৈতজাতম। তথারূপাপরিত্যাগেন অবিবেকাপন্নং নৈশতমোগ্ৰস্তমিবাহঃ সপ্ৰপঞ্চকং একীভূতমিত্যুচ্যতে। ইনি এই সময়ে একীভূত। সুষুপ্তিতে বিশ্বপ্ৰপঞ্চের বস্তু সমূহের পৃথক পৃথক বোধ থাকে না ! কুয়াসায় আচ্ছন্ন হইলে নানা আকার বিশিষ্ট বস্তু সমূহ যেন একাকারে প্রতীত হয়। সেইরূপ অজ্ঞান তমোগ্ৰস্ত হওয়ায় দ্বৈতভাব থাকে না ; নানাপ্রকার বস্তুর নানা প্ৰকারত্ব থাকে না । সমস্তই একীভূত হয় বলিয়া প্ৰাজ্ঞপুরুষকে একীভূত বলা যায় । জাগ্ৰতে যেমন দ্বৈত থাকে-দ্রষ্টা ও দৃশ্য থাকে স্বপ্নেও সেইরূপ দ্বৈত থাকে। এই দুই কালে মনঃস্পন্দন থাকে বলিয়াই দ্বৈত থাকে। BOBKg D KBBDS DBBDBDBDDB BB DDODBDDBD DBDDuD SBDDB DBBB DBBDBDBDBDS কিন্তু সুষুপ্তিতে দ্বৈত থাকে না। অন্ধকার যেমন দিবসের বহু প্রকারের বস্তু সমূহকে আচ্ছাদন করিয়া এক ভাবে পরিণত করে, অর্থাৎ সমস্ত দৃশ্য প্ৰপঞ্চ যেমন এক অন্ধকারে আরত হইয়া একীভূত হইয়া যায়। সেইরূপ সুষুপ্তিকালে পুরুষের মনঃকল্পিত সপ্রপঞ্চ দ্বৈতজাত একীভূতরূপে প্রতীয়মান হয় । বিশ্বের সমস্ত বস্তু তখন নিজ নিজ রূপ পরিত্যাগ না করিয়া ও এক ভাবে এক আচ্ছন্নভাবে অবস্থান করে। পুরুষের যে বুদ্ধি দ্বারা বস্তু সকল নানারূপে প্ৰতিভাত হইত। সেই বুদ্ধি, সেই ভেদবুদ্ধি তখন বিপৰ্য্যয় প্রাপ্ত হয়। এই কারণে সুষুপ্তিকে একীভূত বলা হইল। এই অবস্থায় ইনি প্ৰজ্ঞানঘন। বহু প্রকারের জ্ঞান এই অবস্থাতে ঘন হইয়া বা মিশ্রিত হইয়া একাকার ধারণ করে বলিয়া ইনি প্ৰজ্ঞানঘন। স্বপ্ন ও জাগ্রাতের মনঃস্পন্দন জনিত ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান সমূহ ঘনীভূত হইয়া এক