পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচার-চন্দ্ৰোদয় । মনুষ্য পশু পক্ষী কীট পতঙ্গ, সৰ্ব্বদাই খাওয়া লইয়া ব্যস্ত । আহারের আয়োজনের জন্যই জগতের অধিক কাৰ্য্য চলিতেছে । আর জীব আহার পাইয়া বড়ই আনন্দ করে। অতি ক্ষুদ্র পিপীলিকাও রাত্ৰে চলিয়া বেড়ায় আহারের চেষ্টায়। নিৰ্জন নদীতীরে বালুকা-রাশির উপরেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ কত জীব ঘুরিয়া বেড়াইতেছে আহারের চেষ্টায়। আহার পাইলেই জাবি ঠাণ্ডা হয় । না পাইলেই বড় চঞ্চল । আবার বলি একবার মনে ভাব জগতের জীবের এক ক্ষণের আহারের পরিমাণ কত ? ইহা ত শুধু মুখ দিয়া আহারের কথা । এ ছাড়া সকল ইন্দ্ৰিয়ই কিন্তু নিরন্তর আহারের জন্য ব্যাকুল । চক্ষু রূপ আহার করে, কণ শব্দ আহার করে, বৃক্ষলতা সুৰ্য্যকিরণ আহার করে । আহোঁ ! কি অদ্ভুত এই অহার ব্যাপার । এক একটি জীবের আহার আমরা দেখি । কিন্তু উহা দেখিতে দেখিতে যদি সমষ্টি জীবের আহার আমরা ভাবনা করিতে পারি। তবে আমাদের একটা গতি লাগে । প্ৰতি মানুষের গতি লাগাইবার জন্য বর্তী গ্রুতি আহার কালে সমষ্টি পুরুষ হিরণ্যগৰ্ভকে ভাবনা করিতে বলিতেছেন। এ কথা পরে বলা হইতেছে। শাস্ত্ৰ বলেন ভোজ্যরূপ প্ৰকৃতি র্যয়া ভোজনমুচ্যতে । মায়ায় ভোজ্যরূপেণ পরিণামাৎ বিষ্ণোস্তদধিষ্ঠানত্বাৎ তথাত্বমিতি । এই যে ভোজন দ্রব্য সম্মুখে আসিল-ইহা পাইয়াই একবারে বসিয়া যাইও না। অতি লালীসাপূর্বক যে, ভোজন তাহা পশুরই ধৰ্ম্ম। তুমি মানুষ। প্রথমেই একটু বিচার কর। ভোজনদ্রব্য যাহা তাহা প্ৰকৃতি । মায়াই ভোজ্যরূপে পরিণাম প্ৰাপ্ত হইতেছেন। কিন্তু মায়া যাহার উপরে ভাসিয়া বিবিধ পরিণাম প্রাপ্ত হইতেছেন তিনি বিষ্ণু, তিনি ব্যাপনশীল, ۔ ہے۔؟ Sj ন সব্বব্যাপী হিরণ্যগৰ্ভ। মায়াটি নাই। তবুও ভ্ৰমকালে মনে হয় ジ?