পাড়ার লোক কুকুরের মত তাহার পশ্চাতে ছুটিবে ইহাই কল্পনা করিয়া তাহাকে নিস্তব্ধ ভাবে বসিয়া থাকিতে হইল।
যেম্নি মাখনলালের দুই স্ত্রী প্রবেশ করিল ফকির অম্নি নতশিরে তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া কহিল “মা আমি তোমাদের সন্তান!”
অম্নি ফকিরের নাকের সম্মুখে একটা বালা-পরা হাত খড়্গের মত খেলিয়া গেল এবং একটি কাংস্যবিনিন্দিত কণ্ঠে বাজিয়া উঠিল “ওরে ও পোড়াকপালে মিন্সে, তুই মা বল্লি কা’কে!”
অম্নি আর একটি কণ্ঠ আরো দুই সুর উচ্চে পাড়া কাঁপাইয়া ঝঙ্কার দিয়া উঠিল “চোখের মাথা খেয়ে বসেছিস তোর মরণ হয় না!”
নিজের স্ত্রীর নিকট হইতে এরূপ চলিত বাঙ্গলা শোনা অভ্যাস ছিল না সুতরাং একান্ত কাতর হইয়া ফকির যোড়হস্তে কহিল “আপনারা ভুল বুঝচেন আমি এই আলোতে দাঁড়াচ্চি আমাকে একটু ঠাউরে দেখুন!”
প্রথম ও দ্বিতীয় পরে পরে কহিল “ঢের দেখেছি! দেখে দেখে চোখৃ ক্ষয়ে’ গেছে। তুমি কচি খোকা নও, আজ নতুন জন্মাও নি। তোমার দুধের দাঁত অনেক দিন ভেঙ্গেছে। তোমার কি বয়সের গাছপাথর আছে। তোমায় যম ভুলেচে বলে কি আমরা ভুল্ব?”
এরূপ একতরফা দাম্পত্য আলাপ কতক্ষণ চলিত বলা