তখন সেই স্বাস্থ্যের অভাব ও স্থানাভাবের সঙ্কীর্ণতার মধ্যে একটি নিবিড় আনন্দের উৎস উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিল, নিতান্তই অকারণ আনন্দ, অস্বচ্ছন্দতাকে প্লাবিত করে দিয়ে। শরীরের কষ্টটাই তখন বাহিরের বহু বৈচিত্র্যকে ঠেকিয়ে রেখেছিল। বেদনার সেই খিড়্কীর দরজার ভিতর দিয়ে একটা মুক্তির ক্ষেত্রে এসে পড়েছিলুম। সেইক্ষেত্রে আলোতে আনন্দে এবং আমার সত্ত্বার কোনো ভেদ নাই। বিজ্ঞান যখন বস্তুর অন্তরতম লোকে প্রবেশ করে, অনির্ব্বচনীয় আলোকের নৃত্যশালায় গিয়ে উপস্থিত হয়, দেখে যে সেখানে রূপের বৈচিত্র্য প্রায় বিলীন হয়েছে। রূপলোক—সেটা প্রত্যন্তভূমি। তার পরেই অরূপ। সেই অরূপের কথা বিজ্ঞান কিছু বলতে পারে না। উপনিষৎ তাঁকেই বলেছেন আনন্দ। “প্রাণ এজতি নিঃসৃতম্”—সেই অরূপ আনন্দ হতে নিঃসৃত হয়ে প্রাণ নিরন্তর কম্পিত হচ্চে। নিজের গভীরতার মধ্যে গিয়ে পড়তে পারলে, সেইরকমই একটি নির্ব্বিশেষ পূর্ণতার মধ্যে এসে যেন পৌঁছই। সেখানে শরীর মনের দুঃখও দুঃখ নয়, কেননা শরীর মনের গণ্ডীটাই নেই।
ফুল ফোটে গাছের ডালে, সেই তার আশ্রয়। কিন্তু মানুষ তাকে আপনার মনে স্থান দেয় নাম দিয়ে। আমাদের দেশে অনেক ফুল আছে যারা গাছে ফোটে, মানুষ তাদের মনের মধ্যে স্বীকার করেনি। ফুলের প্রতি এমন উপেক্ষা আর কোনো দেশেই দেখা যায় না। হয়তো বা