পাতা:বিচিত্র প্রবন্ধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চিঠির টুক্‌রি
১৮৫

পূজায, মর্ত্ত্য যখন স্বর্গের দ্বাবের উদ্দেশে রেখে আসে তার নৈবেদ্য। সেই আমার অল্প বয়সে পঁচিশে বৈশাখের স্নিগ্ধ ভোরবেলাটা মনে পড়ছে—শশাবাব ঘবে নিঃশব্দচবণে ফুল বেখে গিযেছিল কা’রা, প্রত্যুষেব শেষঘুম ভ’বে গিয়েছিল তাবি গন্ধে—তারপবে হেসেছি ভালোবাসাব এই সমস্ত মধুব কৌশলে, তারাও হেসেছে আমার মুখের দিকে চেযে। সার্থক হযেছে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ।

 অপরাহ্ন এখন বৌদ্রতাপে ক্লান্ত, মাঝে মাঝে একটা কোকিল ডাকছে বোধ হয় য়ুকল্পিটস্‌ গাছের ডালে ব’সে—এতে ক’বে কোকিলের আধুনিকতার প্রমাণ হয়, উচিত ছিল ওর বকুলের ডালে আশ্রয়। কিন্তু ওর দোষ নেই। পূর্ব্ব আকাশে মেঘের প্রলেপ লেগেছে—কিন্তু বর্ষণে আশা বারবার প্রতিহত হয়ে চলে যাচ্চে।