হইয়া আসিল। তীরের কুটিরে আলো জ্বলিল। সমস্ত দিনের জাগ্রত আলস্য সমাপ্ত করিয়া রাত্রের নিদ্রায় শরীর মন সমর্পণ করিলাম।
নানা কথা
মানুষের হৃদয় ছড়িয়ে আছে মিলিয়ে আছে, পৃথিবীর আলোয় ছায়ায়, তার গন্ধে তার গানে। অতীতকালের সংখ্যাতীত মানুষের প্রেমে পৃথিবী যেন ওড়না উড়িয়ে আছে; বায়ুমণ্ডলে যেমন তার বাপের উত্তরীয়, এ তেমনি তার চিন্ময় আবরণ, এর মধ্য দিয়ে মানুষ রং পায় সুর পায় আপন চিরন্তন মনের। তাই যখন শুনি আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের সময়েও “আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘমাশ্লিষ্ট সানু” দেখা যেত, তখন আপনাদের মধ্যে সেই পূর্ব্বপুরুষদের চিত্ত অনুভব করি, তাঁদের সেই মেঘদেখার সুখ আমাদের সুখের সঙ্গে যুক্ত হয়, বুঝতে পারি যাঁরা গেছেন তাঁরাও আছেন।
বিজনে অরণ্যের বৃক্ষ নিতান্ত শূন্য, কিন্তু যে বৃক্ষের দিকে একজন মানুষ চেয়েছে, সে বৃক্ষে সে মানুষের চাহনি ছাপ দিয়ে গেছে। বহুদিন থেকে যে গাছের তলায় রৌদ্রের বেলায় মানুষ বসে সে গাছে যেমন হরিৎবর্ণ আছে তেমনি মনুষ্যত্বের অংশ আছে। আমাদের সেই পূর্ব্বপুরুষদের নেত্রের অভি আমাদের স্বদেশ-আকাশের তারকার