পাতা:বিজন-বিজয়া - আশুতোষ দাশ গুপ্ত.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه الر| প্ৰাইভেট টিউসন প্ৰভৃতির দ্বারা খরচ চালাইতে আরম্ভ করি। ফান্থন মাসে আমার শ্বশুর মহাশয়ের মৃত্যু হয় ও সেই সঙ্গে আমারও জীবনের ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ বড়ই সংকীর্ণ হইয়া পড়ে। ১৩০৮ সনের প্রারম্ভেই এত দুঃখের সংসারেও নূতন বিশৃশ্বলার ও সর্বনাশের সুত্রপাত হয়। শ্বশুর মহাশয়ের মৃতু্যতেও উদ্যমহীন না। হইয়া আমি একটী দ্বিতীয় শ্রেণীর ও একটি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র পড়াইয়া নিজের পড়া চালাইতে আরম্ভ করিলাম । কিন্তু আমার চেষ্টা ও উদ্যম নিয়তির বিরুদ্ধে কাৰ্য্য করিতে পরিবে কেন ? ৬ই আশ্বিন রবিবার আমাদের সংসারের একমাত্র কর্ণধার খুল্লতাত নবীনচন্দ্ৰ কবিরত্ন মহাশয় অ কালে আমাদিগকে অকুলে ভাসাইয়া ইহ লোক পরিত্যাগ করেন। আমার বড় খুল্লতাত মহাশয় ইহার পূর্বেই অামাদের মায়। পূরিত্যাগ করেন । এই অসময়ের বিপদে অামার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে । আমি পড়া ছাড়িয় চাকরী দেখিবাক্স জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়ি ! আমার মাধ্যম-খুল্লতাত মহাশয়ের শরীরের অবস্থা এ সময়ে ভাল ছিল না ; তা ছাড়া একমাত্র কনিষ্ঠ সহোদরের মৃত্যুতে ও সংসারের ভাবনায় তিনি ভগ্নপক্ষ পক্ষীর ন্যায় অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়েন । দাদার এমন আয় ছিল না, যাহার দ্বারা সংসার চলিতে পারে । বিষয় সম্পত্তি অল্প যাহা ছিল- তাহাতে যাহা আয় হইত, তা হা মামলা মোকদ্দমাতেই খরচ হইয়া যাইত। এই দুঃখের সময়ে, এই বিপদের সময়ে, এই হতাশের সময়ে-কে আমাকে সাস্তুনা দিয়া, উপদেশ দিয়া, সাহস দিয়া, নিজের কৰ্ত্তব্য পথ দেখাইয়া দিয়াছিল ? আমার শ্বশুর মহাশয়ের মৃত্যুর পর হইতেই কাহার উৎসাহে, কাহার সবল বাহুর প্রবল আলিঙ্গনে বল প্ৰাপ্ত হইয়া আমি নিয়তির বিরুদ্ধে ক্ষমাত্মোন্নতির চেষ্টা করিতেছিলাম ? সে আমার অষ্টাদশ বৎসরের