পাতা:বিজন-বিজয়া - আশুতোষ দাশ গুপ্ত.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه آرا সহধৰ্ম্মিণী “বিজন' । এই অল্প বয়সে এত বুদ্ধি, এত কৰ্ত্তব্যজ্ঞান, এত ধৈৰ্য্য ও এত ভালবাসার সহিত কাৰ্য্যশক্তি ভগবান তাহাকে দিয়া ছিলেন যে- সে ছোট-বড় ভালমন্দ সংসারের সকলেরই শ্রদ্ধার পাত্রী হইয়া পড়িয়াছিল । তাহার বুদ্ধির প্রখরতার, কাৰ্য্য-কৌশলতার ও সাংসারিক শৃঙ্খলতার ভিতর এমন এক অশচর্যাশক্তি ছিল যাহার বলে অামার মা, খুড়ি- মা, এমন কি খুড়া মহাশয়েরা পৰ্য্যন্ত কোন ও একটা সাংস৷ ক্লিক কাজ বৌয়ের মত না নিয়া করিতেন না। পরলোক গতা পত্নীর গৌরব বৃদ্ধির নিমিত্ত নহে,-কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশের নিমিত্ত ও সত্যের অনুরোধে আমি এ স্থলে একটী কথার উল্লেখ না করিয়া পারি।-- তেছি না । বাল্য-বিবাহে লোকের জীবনের সর্বনাশ হয়, অামার ও যে না হইয়াছিল এমন নাগে; কিন্তু শুদ্ধ আমার স্ত্রীর ব্যবহার গুণে অ{মি একেবারে অধঃপাতে যাইতে পাের নাই । অামার যতটা অনিষ্ট হইয়াছিল, সে শুদ্ধ নিজের দোষে ও স্ত্রীর উপদেশের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ - চারি তায় । অতি অল্প বয়সেই সে আত্মসংযম কারিয়া ছাত্ৰ-জীবনে কেমন করিয়া চলিতে হয়। অাম{কে উপদেশ দিতে অ্যাসিত ; আমি কখনও মানিতাম, কখনও বুদ্ধির দোষে তাহার কথা উড়াইয়। দিতাম । বখন বাড়ী আসি তাম - যতক্ষণ পড়াশুনার সময় উত্তীৰ্ণ ন হইততশক্ষিণ সে বিছানা পাতিত না, -বিছানায় শুইয়া কখনও পড়িতে দিতেন । পৃথক আসনে বসিয়া পড়িতাম, দুরে সে বসিয়া থাকিস্ত, এবং নিদ্রা বা তন্দ্ৰ। আসিলে সতর্ক করিয়া দিতে ; পড়া শেষ হইলে বিছানা পাতিত । এইরূপ কত কথা বলিব ? সে নিজে কষ্ট করিয়াআত্মসংযম করিয়া আমাকে ছাত্র-জীবনের নিয়মানুযায়ী কাৰ্য্য করিবার পথ দেখাইত । সময় সময় না বুঝিয়া বিরক্ত হইতাম, রাগ করিতাম, অযথা অত্যাচার করিতাম। সে সকল কাৰ্য্যের ভাল মন্দ তখন বুকি