পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক বিজয়৷ ጏፃቖ গেল মা, শুধু আমি এই দুর্ঘটনা ঘটালুম। কাল তোমরা চলে গেলে নলিনীর সঙ্গে আমার এই কথাই হচ্ছিল—সে সমস্তই জানতো । কিন্তু কে ভেবেছে নরেন মনে মনে কেবল তোমাকেই,–কিন্তু নিৰ্ব্বোধ আমি সমস্ত ভুল বুঝে তোমাকে উণ্টে খবর দিয়ে এই দুঃখ ঘরে ডেকে আনলুম। এখন বুঝি আর কোন প্রতিকার নেই ? ( তেমনি মাথায় হাত বুলাইয়া দিতে দিতে) এর কি আর কোন উপায় হতে পারে না বিজয়া ? বিজয় । (তেমনি মুখ লুকাইয়া ভগ্নকণ্ঠে ) ন! দয়ালবাবু, মরণ ছাড়া আর আমার নিস্কৃতির পথ নেই। দয়াল। ছি মা, এমন কথা বলতে নেই। বিজয় । আমি কথা দিয়েছি দয়ালবাবু। তারা সেই কথায় নির্ভর করে সমস্ত আয়োজন সম্পূর্ণ করে এসেছেন। এ যদি ভাঙি সংসারে আমি মুখ দেখাবে কেমন ক’রে ? শুধু বাকি আছে মরণ বলিতে বলিতে পুনরায় তাহার কণ্ঠরোধ হইল। দয়ালের চোখ দিয়াও আবার জল গড়াইয়া পড়িল । হাত দিয়া মুছিয়া বলিলেন— দয়াল Uনলিনী বললে, বিজয় কথা দিয়েছে, সই को দিয়েছে—এ ঠিক। কিন্তু কোনটায় তার অন্তর সায় দেয়নি | তার সেই মুখের কথাটাই বড় হবে মামাবাবু, আর হৃদয় মিথ্যে হয়ে ? তার মামী বললে, ওর মা নেই, বাপ নেই একল মেয়ে,–আচাৰ্য্য হয়ে তুমি এতবড় পাপ কোে যে দেবতা হৃদয়ে বাস করেন এ অধৰ্ম্ম তিনি সইবেন