পাতা:বিজয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দৃশ্য বিজয়ী ( বিজয়া । ( চমকিত হইয়া নিজেকে সম্বরণ করিয়া ) আসুন । দয়াল। এরা সবাই দিঘড়ার বাড়ীতে চলে গেলেন। বিলাসবাবু তাদের ব্যবস্থা করে দিয়ে তার আফিস ঘরে গিয়ে ঢুকলেন। আমাকেও সঙ্গে যেতে ব’লেছিলেন, কিন্তু যেতে আমার ইচ্ছে হোল না-ভাবলুম এই অবসরে মা বিজয়ার সঙ্গে দুটো কথা কয়ে নিই। ( এই বলিয়া নিজে একটা চেয়ারে বসিয়া পড়িলেন ) দাড়িয়ে কেন মা, তুমিও বসে । বিজয়া । ( সম্মুখের আসনে উপবেশন করিয়া শঙ্কিতকণ্ঠে কহিল ) আপনি গেলেন না কেন । আপনার তো বেলা হয়ে যাবে। দয়াল। তা যাক। একটু বেলাতে আর আমার ক্ষতি হবে না । তোমার সঙ্গে দু’। দণ্ড কথা কইবার লোভ সামলাতে পাম্বলুম না। অনেক দেখেছি, কিন্তু তোমাব মতো অল্প বয়সে ধৰ্ম্মের প্রতি এমন নিষ্ঠা আমি দেখি নি। ভগবানের আশীৰ্বাদে তোমাদের মহৎ উদ্দেশ্য দিনে দিনে শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করুক। কিন্তু মা, তোমার মুখ দেখে মনে হ’ল যেন মনে তোমার আজ সুখ নেই। কেন না ? বিজয় । কি ক’রে জানলেন ? দয়াল । ( মৃদু হাসিয়া ) তার কারণ আমি যে বুড়ো হয়েছি মা । ছেলেমেয়ে অসুখী থাকলে বুড়োর টের পায়। বিজয়া । কিন্তু সকলেই তো টের পায় না। দয়ালবাবু। দয়াল। তা জানি নে মা । কিন্তু আমার তো তাই মনে হোলো । এর জন্যেই চ’লে যেতে পারলুম না। আবার ফিরে এলুম। বিজয়া । ভালই করেছেন দয়ালবাবু। BBDBS SDD BDD BBB BBDDD DBDBB D SS S BDBDDD DBDBD বড় ভালবাসে-ইচ্ছে করে তোমার কাছে বসে খুব খানিকটা বকে নিই, কিন্তু ভয় হয় পাছে বিরক্ত করে তুলি।