জাফ্রানি স্থান
এই পাথরের পাটায় পাটায় স্বৰ্গ হ’তে বারম্বার
লক্ষ্মী নামেন, ঐ দেখ গো পৈঁঠা-পীড়ি আসন তাঁর!
উথলে দিতে সোনার সরিৎ হরিৎ-বেশে উদয় হন
এই কঠোরের ঘাটে ঘাটে রানায় রানায় তাঁর চরণ!
এই কঠোরে কোমল ক’রে ফসল ফলায় কাশ্মীরী,
অন্ন আয়ু আদায় করে এই পাথরের বুক চিরি’!
* * *
পৌছেছি গো পৌছেছি তাজ গিরিরাজেব তারে,
শিবের বিয়ের ওই যে টোপব ওই যে গো বিরাজ করে,
ঐ যে ‘হরমুকুট’ উজল ঐ যে চির-চমৎকার,
বেড় দিয়ে ভুজঙ্গ-সাথে গঙ্গা আছেন অঙ্গে যাব,
ঐ যে ‘নাঙ্গা’ ঐ যে ধিঙ্গি ঐ যে নন্দী ভৃঙ্গী সব
নিচ্চে মনে আজ বা মোরা শুন্ব শিবের শিঙাব বব,
মূর্ত্তিমতী হৈমবতী কবিরা কন কাশ্মীরে,
ফুটেছে এই সোনার কমল গিরিরাজের বুক চিরে,
তপের তাপের শেষ নাহি এব, শিবের আাশা-পথ চেয়ে,
দুঃসহ ক্লেশ সইল কত উষা-প্রভা এই মেয়ে।
* * *
সার দিয়েছে সফেদ্ তরু দীর্ঘ পথের দুই ধারে,
লক্ষ ময়ূরপুচ্ছ-চামর হেল্ছে হাওয়ার সঞ্চারে,
সবুজ ঘাসেব গাল্চে, ’পরে গাব্বা পাতে সুন্দরী
গাছের ছায়ায় গাব্বা-তাতে টুক্রো রোদের ফুলকরী,
চীনার গাছের ধবল বাহু মেল্ছে পাতার পাঁচ আঙুল,
দেবের ভোগ্য ফল্ছে গো সেব, ফুটছে হোথা আনার-ফুল,