বিদায়-আরতি
মুক্তা-ফলের লাবণ্য কি আমেজ দিল মুক্ত নীলাম্বরে?
দিগ্বধূরা চামর করে আকাশ-আলোর বিরাট্ হরিহরে?
অলখ্ পরী উষারতির রত্ন-প্রদীপ মাগে,
আলোক-গঙ্গা-স্নানের লাগি’ জহ্ন, কুবের কনকজঙ্ঘা জাগে।
সোনার কাঠি ছুঁইয়ে দে রে, এ-নিদ্-মহল কার আছে তজ্বিজে?
বিভাবরীর নীলাম্বরীর আঁচল ওঠে মোতির আভায় ভিজে?
হোরার কালোচুলের রাশে কোথায় থেকে ধূপের ধোঁয়া লাগে।
বন্-কপোতের গ্রীবার নীলে জাফরাণী নীল মিলায় অনুরাগে!
পাশ্-মোড়া দ্যায় স্বপ্নে উষা আধ-খোলা আধ-ফোটা ফুল পারা
সোন-মুখের হাই লেগে হয় মুহুর্মূহু আকাশ আপন-হারা!
বরণ গলে, মেঘ-মহলে দোলে কমল-মালা,
ছোপ রেখে যায় সোনার ধোয়াট্,নীল ফটিকের বিরাট্ তোরণ-আলা!
সাগর-বেলায় ছোট্ট ঝিনুক যেমন রঙে সদাই সেজে আছে—
ফুলের ফোটায় ঢেউয়ের লোটায় যে রঙ ধরা দ্যায়না তুলির কাছে—
ফিরোজ-মোতি-গোমেদ্ চুনী-প্রবাল-নীলার নিশাস চয়ন ক’রে
আমেজ দিয়ে,আভাস দিয়ে,আব্ছা দিয়ে আকাশকে দ্যায় ভ’রে—
ইন্দ্রলোকে রামধনুকে কবির শ্লোকে যত রঙের মেলা
ভুবন ভ’রে নয়ন ভ’রে তেম্নি-ধারা লক্ষ রঙের খেলা!
নিসর্গ আজ আচম্বিতে হয়েছে স্বর্গীয়!
অলখ্ তুলি সেচন করে, লোচন হেরে অনির্ব্বচনীয়!
পারিজাতের দল ছিঁড়ে কে ছোট্ট মুঠায় ছড়ায় গগন হ’তে
দেও-ডাঙাতে টিপ রাঙাতে আনন্দে দুধ-গঙ্গাজলের স্রোতে,