পাতা:বিদায়-আরতি.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সিঞ্চলে সূর্য্যোদয়

কোন ব্রত আজ গৌরী করেন রজতগিরির ভালে সিঁদুর দিয়ে,
হেম হ’ল গা শঙ্করের ওই হৈমবতীর পরশ-পুলক পিয়ে!
আড়াল করে মেঘের মালা গিরিবালার ভরম দিতে ঢেকে,
আড়াল করে যবনিকায় মহ যোগীর মনের বিকার দেখে।
জ্বলে নেভে তুষার-ভালে আলে। ক্ষণে ক্ষণে,
সেই আলোকে স্নান করে আজ বসুন্ধরার উচ্চতমের সনে।


প্রবাল-বাঁধা ঘাটের পারে তরল পদ্মরাগের নিলয় চিরে—
কে জাগে? উদ্ভিন্ন ক’রে কমল-যোনির জন্ম-কমলটরে!
কে জাগেরে অরুণ-রাগে ব্যগ্র তাথির পুরিয়ে বাঞ্ছা যত—
বাঘের চোখের আলোয় ঘেরা বরণমালা তুলিয়ে লক্ষ শত!
একি পুলক দ্যুলোক-ভরা! আলিঙ্গিছে হর্ষে অনিবার
আমার চোখের চমৎকারে তোমার আলোর চির-চমৎকার!
রোমে রোমে হর্ম জাগে, জগং ওঠে গেয়ে,
চির-আলোর সাগর দোলে চোখের আলোর সঙ্গটুকুন পেয়ে।


বর্ষ-বোধন

তোমার নামে নোয়াই মাথা ওগো অনাম! অনির্ব্বচনীয়!
প্রণাম করি হে পূর্ণ-কল্যাণ!
প্রভাত পেলে যে প্রভা আজ, সেই প্রভা দাও প্রাণে আমার প্রিয়,
আলোয় জাগো সকল-আলোর-ধ্যান!

২৭