পাতা:বিদায়-আরতি.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্কন্দ-ধাত্রী

[সপ্তর্ষির পত্নীদের মধ্যে বশিষ্ঠের স্ত্রী অরুন্ধতী বাদে বাকী ছয়জনের পত্নীর নাম যথাক্রমে বর্ষয়ন্তী, অভ্রযন্তী, অম্বা দুলা, নিবত্নী ও চুপুনীকা। এরাই শরবনে পরিত্যক্ত ইন্দ্রের শক্র তারকাসুরের ভাবী-দমন-কর্ত্তা রুদ্রের পুত্র স্কন্দ বা কার্ত্তিকেয়-দেবের ধাত্রী। এঁদের অন্য নাম কৃত্তিকামণ্ডলী।]

কই রে কোথা বর্ষয়ন্তী? অভ্রয়ন্তী কই?
—নাম ধ’রে আজ আকাশ-বাণী ডাক দিয়েছে ওই।
শূন্য নভে বুলাস্‌নে আর ব্যথার অনিমেষ,
দৈব হ’ল সদয়, বুঝি হবে ব্যথার শেষ।
প্রাণে পুষিস্‌ স্নেহের ক্ষুধা, হৃদয় উপোষী,
শুনিস্ নে কি শিশুর কান্না কাঁদায় ক্রন্দসী?
গর্ভে ছেলে ধরি নি তাই শূন্য রবে কোল?
শুকিয়ে যাবে সব মমতা? শুন্‌ব না মা-বোল্‌?
এমন কঠোর ন’ন্‌ বিধাতা, আকাশ-বাণী তাই
ডাক দিয়েছে সফল হ’তে, চল্‌ ছ’বেনে যাই।
খুঁজে দেখি তিন ভুবনে কোথায় সে কুমার,
রুদ্র-তেজে জ’ন্মে যে কোল পায়নিক উমার।
এইদিকে আয়, এইদিকে আয়, এইদিকে আয়, বোন্‌।
কচি ছেলের পাস্‌ কি আওয়াজ? কান পেতে ভাই শোন্‌।
সন্দেহে সৌভাগ্য-হারা আমরা অভাগী—
একটি শিশুর একটু পরশ ছয় বোনে মাগি।
 * * *
এইদিকে আয়! ওই দ্যাখা যায়! আহা চমৎকার!
চোখের পলক কেড়ে-নেওয়া মুখ দ্যাখো বাছার!

৪২