স্কন্দ-ধাত্রী
সাগর-সেঁচা মাণিক এ যে সাতটি রাজার ধন,
দৈব-বাণী ভুল বলে নি, ভুল বলে নি, বোন্!
এ যেন রে নিখিল নারীর মাতৃ-হিয়ার সাধ,
স্বপ্নে-গড় মূর্ত্তিমন্ত জীবন্ত আহলাদ!
এ যেন রে দিব্যছটা মৃত্তিকা ’পরে
ভানুর ভ্রূণ ভোরাই মেঘের সূতিক-ঘরে!
জন্মেছে এই ফুল্কিটুকুন্ নেহাৎ অসহায়
দৃষ্টিবিষা বিষধরে ঘেরা বনের ছায়।
নাইক গেহ মায়ের স্নেহ, নাইক বাছার নীড়,
খাগ্ড়া-শরের খাঁড়ার মতন পাতার খালি ভিড়।
ভিড় ক’রে কি করিস্ তোরা? সর্ তে দেখি, দে,
দেখিস্ নে কি দুধের বাছার পেয়েছে ক্ষিদে?
* * *
ছয় মা দেবে পীযুষ, ছেলের একটি সবে মুখ;
কোন্ মাকে দুখ্ দিবি, ছেলে? কার ভরাবি বুক?
ছয় মায়েরি পীযুষ-ব্যথা, সোয়াস্তি নেই আর!
হঠাৎ এ কি! দ্যাখ্ দিদি দ্যাখ্! এ কি চমৎকার!
সত্যি এ কি? স্বপ্ন দেখি? এ কি রে বিস্ময়
দেখ্তে দেখ্তে নতুন মুখ আর নতুন অধর হয়!
এক আকাশে উদয় যেন হ’ল রে ছয় চাঁদ,
এক লহমায় মিটিয়ে দিতে ছয় জননীর সাধ!
আর কেন বোন্ বষয়ন্তী আর কেন বিমন?
ছয় মায়েরি ক্ষোভ মিটাতে কুমার ষড়ানন!
* * *
ছয় জননী স্তন্য পিয়াই চাঁদ-ঝোলানো দোলাতে,
ছয় বোনে হিম্শিম্ খেয়ে যাই একটি ছেলে ভোলাতে।