দাবীর চিঠি
কালার—জনক যজ্ঞবল্ক্য; গোরার?—আছেন মার্টিনো;
কালার-রঘু রাজেন্দ্র চোল; গোরার—ক্লাইভ মার্লব্রো।
কালা দেছে আর্য্যভট, গোরা দেছে নিউটনে,
কালা কৃতী জীবের সেবায়, গোবা vivisectionএ।
কালার ছিল বৌদ্ধ মিশন, গোরাব মিশন খৃষ্টীয়,
সবাই জানে কালার দেখেই নকল করে সৃষ্টি ও।
একদিকে ওই কণাদ কপিল, অন্য দিকে হিউম মিল্,
একদিকে অমৃতপ্রাশ, অন্য দিকে বীচাম্স্ পিল।
কালার ছিল চাণক্য; আর গোরার ছিল? ডিজ্রেলি!
তুলনা ছাই যাক চুলোতে মিছাই নামের ভিড় ঠেলি।
গোরার আছে ম্যাগ্না-কাটা, কালার না হয় নেইক তা,
Bill of Rights নয় কখনো নয় জীবনের শেষ কথা।
তা’ বলে নয় তুচ্ছ কালা, তার পলিটিক্স্ নয় আঁধার,
গোরার আছে পার্লামেণ্ট আর কালার ছিল সন্তাগার।
কালার কীর্ত্তি মিশর-দ্রাবিড় অবব-চীনেব সভ্যতা,
গোর র কীর্ত্তি? ডাইনামাইট-—সভ্য করার দ্রব্য তা!
গোরা যারে ভব্যতা কয় তিন্শো বছর বয়স তার,
কালার যা’ গৌরবের জিনিস—তার অন্তত তিন হাজার।
ব্রিটন দেছে ক্রমোয়েল, আর ভারত জামদগ্ন্য-রাম,
কার্ত্তবীর্য্য— চাল্স্ষ্টুয়ার্ট -কালায় গোরায় মিল তামাম।
* * *
জাতির পাঁতির কল্মী-দামে আজকে না হয় বদ্ধ হাতী,
তই ব’লে কি ডুব্তে দেবে তোমরা না সব সভ্য জাতি?
জ্ঞানের বাতি আফ্রিকাতে জ্বাল্ছ নাকি? শুন্তে পাই।
মানুষ বিক্রী উঠিয়ে দেছ নিত্যি শোনাও এই কথাই।