পাতা:বিদায়-আরতি.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিদায়-আরতি

অবাক্‌ চোখে বিশ্ব দ্যাখে হয় গো বিশ্বনাথ,
দোরোখা এক্ট বিধান’ পরে হয় না বজপাত?

নিষ্ঠাবানের সধবাও করেন একাদশী
পতির পাতে প্রচুর ভাবে ‘আট্‌কে’ বেঁধে বেখে,
আওটা-দুধে চুমুক লাগান্‌ পিছন ফিরে বসি’
পাঁতিদাতা পতি-গুরু পাছে ফুলন দেখে।
বিড়াল চাটে দুধের বাট বাড়িয়ে দিয়ে গলা,
পিঁপড়ে মাছি আমের খোলায় উল্লাসে ভিড় করে,
শাস্ত্র যাদের ভয় দেখিয়ে করিয়েছে নির্জ্জলা
তারাই শুধু হাতের চেটো মেল্‌ছে মেঝের পবে।
তৃষ্ণতে জিভ টান্‌ছে পেটে, এম্‌নি রোদের তাত,
খস্‌খসে দুই চোখের পাতা, হয় না আশ্রুপাত

ফোঁটায় ফোঁটায় শিবের মাথায় ঝারার যে জল ঝবে —
সতৃষ্ণ চোখ সারা বেলা দেখছে শুধু তাই,
কাকটা কখন গুটি গুটি ঢুকে ঠাকুর-ঘরে
অর্ঘ্যপাত্রে মুখ দে’ গেল,—একটুও হুঁশ নাই!
চক্ষু দিয়ে প্রাণ-পাখী হায় মেলছে বুঝি পাখা,
ভির্ম্মি গেছে—ভির্ম্মি গেছে— জল কে দেবে মুখে?
কারো সাড়া নেইকে কোথাও মিথো হাক ডাকা—
একাদশীর বিধান-দণতার গর্জ্জে নাসা সুখে!
অধোমুখে বিশ্ব দ্যাখে, হায় গো বিশ্বনাথ,
পাষাণ ’পরে আশ্রু ঝরে’ পড়ে দিবসরাত।

৫৬