পাতা:বিদায়-আরতি.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বড়দিনে

প্রাণের ভাঁড়ার উঠ্‌ছে রিক্ত হ’য়ে,
সিক্ত হ’য়ে উঠ্‌ছে আঁখির পাতা,
একে একে বৈতরণীর তোয়ে
ডুব্‌ছে মাণিক; হচ্ছে নীরব গাথা।
দবাজ প্রাণের সেই হাসি আজ খুঁজি,
গান গাওয়া সেই তেম্‌নি দরাজ সুরে;
“দরদী নেই তেমন দরের বুঝি”
—শোকের হাওয়ায় রক্ত-অশোক ঝবে।


বড়দিনে

তোমাব শুভ জন্মদিনে প্রাণাম তোমায় কর্‌ছে অখৃষ্টান,
ভগবানের ভক্ত ছেলে! ঋষির ঋষি। খৃষ্ট মহাপ্রাণ!
সাত মনীষীর বন্দনীয় ওগো রাখাল! ওগো দীনের দীন!
জগৎ সারা চিত্ত দিয়ে স্বীকার করে তোমার কাছে ঋণ।
হৃদয়-লতার তন্তু দিয়ে বিশ্ব সাথে বাঁধলে বিধাতারে,
পিতা ব’লে ডাক্‌লে তাঁরে আনন্দেরি সহজ অধিকারে।
চম্‌কে যেন উঠল জগৎ নূতনতর তোমার সম্বোধনে;
শাস্ত্রপাঠী উঠল রুষে, শয়তানের ফন্দী আঁটে মনে;
টিট্‌কারী দ্যায় সন্দেহীরা ভাবে বুঝি দাবী তোমার ফাঁকা,
ক্রুসের পরে জীবন দিয়ে রক্তে আপন কর্‌লে দলীল পাকা।
মৃত্যুাপারের অন্ধকারে ফুট্‌ল আলো, উঠল যে জয়গান,
আপনি মরে বিশ্ব-নরে দিলে তুমি নবজীবন দান।
স্বর্গে মর্ত্তে বাঁধলে সেতু, ধন্য ধরা তোমার আবির্ভাবে।
মরণ-জয়ী দীক্ষা তোমার জায়াজয়ে অটল লাভালাভে।

 *   *   *

৬৯