পাতা:বিদায়-আরতি.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কোনো ধর্ম্মধ্বজের প্রতি

কিম্বা দ্যাখার নাই প্রয়োজন, তোমরা এখন সবাই বিজিগীষু,
‘জিঙ্গো’ আসল ইষ্ট সবার, তার আবরণ-দেবতা মাত্র যীশু!
ডায়ার-ডৌল্‌ জবরদস্তি,—তাতেই দেখি আজ তোমাদের রুচি।
গোবর-দস্ত আইন গ’ড়ে নিষ্ঠুরতায় নিচ্ছ ক’রে শুচি।
বীরত্বেরই বিজয়-মালা বর্ব্বরতার দিচ্ছ গলায় তুলে।
অমানুষের কর্‌ছ পূজা, সেরা মানুষ খৃষ্টদেবে ভুলে।
মরদ-মেয়ে ভুগছ সমান হূণ-বিজয়ের বড়াই-লালচ রোগে,
মানুষকে আর মানুষ ব’লেই চিনতে যেন চাইছ না, হায়, চোখে।
ঢাকের পিছে ট্যাম্‌টেমি-প্রায় টমির ধাঁচায় ট্যাঁশটোশ্‌ ও আজ ঘোরে।
শয়তানই যে হাওয়ায় হাঁটায় শূন্যে ওঠায় সে হুঁশ গেছে সঁরে।
নেইক খেয়াল, আত্মা বেচে জগং-জোড় কিন্‌ছে জমিদারী!
কে জানে ক’দিনের ঠিক, ঠিকাদাবের ঠ্যাকার কিন্তু ভারি।
ধিঙ্গি চলে জঙ্গী ঢালে, কুচ ক’রে লাল কাগজ-ওলা চলে,—
নাক তুলে যায় দালাল-ফোড়ে,
আজ দেখি হয় পাদ্‌রীও সেই দলে!

 *   *   *

যাও দ’লে যাও, ডঙ্কা বাজাও, অহঙ্কারের ছায়। ক্ষণস্থায়ী।
মিছাই ব্রতের বিঘ্ন ঘটাও অহঙ্কারের হুম্‌কি-ব্যবসায়ী!
আমরা তোমার চাই না শিক্ষা, চাই না বিদ্যা, হে বিদ্যা-বিক্রয়ী!
ধর্ম্ম-কথাও পণ্য যাদের তাদের পণ্য কিন্‌তে ব্যগ্র নহি।
মানুষ খুঁজে ফির্‌ছি মোরা,—মানুষ হবার রাস্তা যে বাৎলাবে।
তিক্ত হ’য়ে গেছে জীবন ঘরের পরের অমানুষের তাঁবে।
ফলিয়ে দেবে মর্ত্ত্যে যেজন বুদ্ধ-যীশুর স্বর্গ-সূচন বাণী,
শহীদ-কুলের হৃদ্য-শৌর্য্য হৃদয়ে যার পেতেছে রাজধানী,—
জাতিভেদের টিট্‌কারী যে পরকে শুধুই দ্যায় না নানান্‌ ছলে,—
জমিয়ে বুকে জিঙ্গোয়ানীর জবর জাতিভেদের হলাহলে,—

১০
৭৩