বিদায় ভোজ।
১৩
আমার কথায় বাধা দিয়া সুশীলের মাতা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে কি আর উহাকে ফিরিয়া পাইবার আশা নাই?”
কিছুক্ষণ ভাবিয়া আমি বলিলাম, “আর একবার চেষ্টা না করিয়া আপনার কথার উত্তর দিতে পারিব না।”
ঈষৎ হাসিয়া তিনি বলিলেন, “সমস্ত স্থানই ত অনুসন্ধান করা হইয়াছে, আবার কোথায় খোঁজ করিবে বাবা?”
আ। না—আমি খুঁজিবার কথা বলি নাই। এখন আমার দৃঢ়বিশ্বাস হইতেছে যে, আংটীটা কেহ চুরি করিয়াছে। কিন্তু কে যে চুরি করিয়াছে তাহা জানিতে হইবে। আমি আপনাকে গোটাকতক কথা জিজ্ঞাসা করিব। আপনি তাহার যথাযথ উত্তর দিন।
সুশীলের মাতাঠাকুরাণী দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বলিবে বল বাবা?”
আ। আংটীটা প্রথমে কে দেখিতে চাহিয়াছিল?
সু-মা। আমি—আমার দেখা হইলে পর আমার পার্শ্বস্থ প্রতিবেশীর এক কন্যার হাতে দিয়াছিলাম।
আ। তিনি এখন এখানে উপস্থিত আছেন?
সু-মা। হাঁ বাবা, আছে।
আ। তাঁহার বয়স কত?
সু-মা। প্রায় ত্রিশ বৎসর—বিধবা।
আ। একবার তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি কাহার হস্তে আংটীটী প্রদান করিয়াছিলেন।
সুশীলের মাতাঠাকুরাণী তখনই গাত্রোত্থান করিলেন এবং সেখান হইতে প্রস্থান করিলেন। কিছুক্ষণ পরে পুনরায়