বিদায় ভোজ।
১৫
এখন আর সাক্ষাৎ হইবার কোন সম্ভাবনা নাই, তাঁহারা কি সত্য সত্যই কাশীধামে গমন করিয়াছেন?”
ঈষৎ হাসিয়া সুশীলের মাতাঠাকুরাণী উত্তর করিলেন, “তুমি ত সকলই জান বাবা! তাঁহাদের কথা তোমাকে আর নূতন করিয়া কি বলিব? তবে যখন সমস্ত উদ্যোগ করিয়া বাড়ী হইতে বাহির হইয়াছেন, তখন বোধ হয় এবার সত্য সত্যই কাশীধামে গমন করিবেন।”
আ। আরও দুইবার ত তাঁহারা এইরূপ করিয়াছিলেন।
সু-মা। হাঁ বাবা, তাঁহাদের মনের কথা বোঝা ভার।
আ। তবে এবারও যদি সেই মত হয়?
সু-মা। এবার শুনিলাম, তাঁহারা এখান হইতেই হাওড়া যাইবেন, আর বাড়ীতে যাইবেন না, এই রকম কথা ছিল।
আ। এখানকার কোন লোক তাঁহাদের সঙ্গে গিয়াছিল?
সু-মা। না বাবা! আমি সঙ্গে যাইতে বলিয়াছিলাম, কিন্তু বেহাই তাহাতে রাজী হইলেন না। আমার ইচ্ছা ছিল, বাড়ীর চাকর তাঁহাদিগকে গাড়ীতে তুলিয়া দিয়া আসে। বেয়ান রাজী ছিলেন বটে কিন্তু কর্ত্তা মত করিবেন না।
আ। এখান হইতে কখন রওনা হইয়াছেন?
সু-মা। আজ বেলা নয়টার সময়।
আ। অবশ্য গাড়ী করিয়াই ষ্টেশনে গিয়াছেন?
সু-মা। হাঁ বাবা!
আ। কে গাড়ী ডাকিয়া আনিয়াছিল?
সু-মা। বাড়ীর চাকর।
ঠিক সেই সময় সেইভৃত্য তথায় উপস্থিত হইল। আমি