পাতা:বিদায় ভোজ - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদায় ভোজ।
১৭

নম্রভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “কি ভাই, আংটীটা পাইবার আর আশা আছে কি?”

 কি উত্তর দিব স্থির করিতে না পারিয়া, আমি কোন কথা বলিলাম না। সুশীল আর কোন প্রশ্ন করিতে সাহস করিল না। কিন্তু তাহার মাতাঠাকুরাণী অতি বিমর্ষভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখন কি করিবে বাবা! আংটীটা কি আর পাওয়া যাইবে না? যদি তাহাই হয় তাহা হইলেই সর্ব্বনাশ! শুনিয়াছি, তেমন আংটী সহরে নাই। আংটীটা নাকি বিলাত হইতে আনান হইয়াছিল।”

 সুশীলের মাতার কথা শুনিয়া আমি আন্তরিক দুঃখিত হইলাম। কিছুক্ষণ ভাবিয়া বলিলাম, “একেবারে হতাশ হইবেন না। যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ, আমি আর একবার চেষ্টা করিয়া দেখি, তাহার পর আপনার কথার উত্তর দিব।”

 এই বলিয়া আমি সুশীলের নিকট বিদায় লইলাম, সুশীল আমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ীর সদর দরজা পর্য্যন্ত আসিল। পরে আমাদিগকে গাড়ীতে আরোহণ করিতে দেখিয়া কোচমানকে শকট চালনা করিতে আদেশ করতঃ পুনরায় বাড়ীর ভিতরে গমন করিল।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ।

 থানায় ফিরিয়া আসিয়া স্নানাহার সমাপন করিলাম। পরে অপর একটী কার্য্যের জন্য পুলিশ আদালতে গমন করিলাম।