২০
দারােগার দপ্তর, ২০৩ সংখ্যা।
এক এক করিয়া করিমবক্সের আস্তাবলে যাইতে আরম্ভ করিলাম।
প্রথম তিনটী করিমবক্স আমাদের করিমবক্স নহে। চতুর্থ করিমবক্সকে দেখিয়া সদা চিনিতে পারিল। সে তাহার সহিত আমাকে দেখিয়া অত্যন্ত ভীত হইল এবং একদৃষ্টে কাতর নয়নে আমার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল।
করিমের ভীতভাব ও বিষণ্ণবদন অবলোকন করিয়া আমার কেমন দয়া হইল। আমি মিষ্টবচনে বলিলাম, “আমি তোমার কোন অনিষ্ট করিবার জন্য এখানে আসি নাই, একটী বিশেষ কথা জানিবার জন্য তোমার নিকট উপস্থিত হইয়াছি।”
পরে সদানন্দকে নির্দ্দেশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “তুমি এই লোকটীকে চেন?”
করিম হাসিয়া বলিল, “আজ্ঞে বেশ চিনি, এক দেশের—এমন কি এক পাড়ার লোক।”
আ। “সদার মনিবের বাড়ী হইতে কাল সকালে যে সওয়ারি লইয়া গিয়াছিলে, তাহাদিগকে কোথায় রাখিয়া আসিয়াছ?”
আমার কথা শুনিয়া করিম যেন আশ্চর্য্যান্বিত হইল। একবার আমার মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “আজ্ঞে—হাওড়া স্টেশনে। সেখানে যাইবার জন্যই ত গাড়ী ভাড়া করা হইয়াছিল?”
আ। তুমি কত ভাড়া পাইয়াছিলে?
করিমের কৌতূহল আরও বৃদ্ধি হইল। সে জিজ্ঞাসা করিল, “কেন মহাশয় এ কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন? তাঁহারা আট আনার ভাড়া করিয়াছিলেন, তাহাই দিয়াছেন।”
আ। শুনিয়াছি, কর্ত্তাটী বড় কৃপণ। সেই জন্যই জিজ্ঞাসা