৮
দারােগার দপ্তর, ২০৩ সংখ্যা।
আমি তখন সুশীলের মাতাঠাকুরাণীর দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “কোন স্থানে বসিয়া আপনারা আংটীটী দেখিয়াছিলেন?”
সু-মা। ভিতরের দালানে।
আ। তখন সেখানে কতগুলি লোক ছিলেন?
সু-মা। প্রায় কুড়িজন।
আ। সকলেই কি স্ত্রীলোক?
সু-মা। না—চারিজন মাত্র পুরুষ ছিলেন।
আ। সকলেই কি গৃহে ফিরিয়া গিয়াছেন?
সু-মা। যাহার আংটী সে গিয়াছে আর আমার বেয়ান ও বেহাই কাশী যাত্রা করিয়াছেন। আর সকলেই আছেন।
আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। ভাবিলাম, তাঁহারা নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিয়াছিলেন, এখনও গৃহে প্রত্যাগমন করেন নাই কেন? কিন্তু মুখে কোন কথা বলিলাম না।
আমাকে নীরব দেখিয়া সুশীলের মাতাঠাকুরাণী আমার মনোগত অভিপ্রায় বুঝিতে পারিলেন। তিনি বলিলেন, “এই আংটীর গোলযোগ না মিটিলে তাঁরা এ বাড়ী ছাড়িতে চান না। আমি অনেক অনুরোধ করিয়াছি কিন্তু কেহই আমার কথা গ্রাহ্য করিতেছেন না।”
আ। আপনার বেয়ান কি আর বাড়ী ফিরিয়া যান নাই? আপনাদের বাড়ী হইতেই কি তীর্থ যাত্রা করিয়াছেন?
সু-মা। এই রূপই কথা ছিল। তাঁহারা উভয়েই প্রস্তুত হইয়া এখানে আসিয়াছিলেন।
আ। তাঁহারা কি আর ফিরিবেন না?