পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ

করি কেন? তাহার উত্তরে সেই একটী প্রাচীন শ্লোকার্দ্ধ মনে পড়ে ‘‘আশা দাসী কৃতা যেন, তেন দাসায়তে জগৎ।” যিনি আশার কুহুকে ভুলেন না,লোভে মজেন না, জগৎ তাঁহার দাস। আমরা তাঁহার দাসানুদাস। বিদ্যাসাগর মহাশয় লোভ লালসা শূন্য ছিলেন। সে সম্বন্ধে তাঁহার নিজমুখ হইতে শ্রুত, দুই একটী গল্প বলিতেছি। দুইবার তিনি চাকরি ছাড়েন, তাহা বোধ করি অনেকেই জানেন। একবার চাকরি ছাড়ার পর তাঁহাকে তাঁহার জনৈক স্নেহশীল মুরূব্বি সাহেব ডাকিয়া লইয়া যান। বিদ্যাসাগর মহাশয় যাইবা মাত্র সাহেব জিজ্ঞাসা করেন, “বিদ্যাসাগর তুমি খাইবে কি?” বিদ্যাসাগর মহাশয় কথার তাৎপর্য্য বুঝিয়াও বুঝিলেন না, ভাণ করিয়া, পরিহাসচ্ছলে বলিলেন, “মহাশয় কি আমাকে আহারের নিমন্ত্রণ করিয়াছেন, যে জিজ্ঞাসা করিতেছেন আমি কি খাইব।” সাহেব তাহাতে একটু অসন্তুষ্ট হইয়া বলিলেন “বিদ্যাসাগর ব্যঙ্গ পরিত্যাগকর। আমি তোমার আয়ব্যয়ের সমস্ত বৃত্তান্তই জানি।