পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
১৭

কিসে এত বড় ছিল? আবার কি করিলেই বা সে মহত্ব পুনঃ লাভ করিতে পারে। ভারতের সার ব্রাহ্মণ, ভারতের প্রাণ ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণের তেজে ভারত বড় হইয়াছিল, আর ব্রাহ্মণত্বের অবনতিতেই ভারতের অবনতি হইয়াছে। যে হস্ত দ্বারা ষড়্‌দর্শন উপনিষদাদি ভারতের কীর্ত্তিস্তম্ভ সমূহ গ্রথিত হইয়াছিল, সে হস্ত ভিক্ষালব্ধ অন্নদ্বারা পরিপুষ্ট। সেই সকল মহাত্মা কখন খাট পালঙ্কে শয়ন করেন নাই, চেয়ার টেবিল দেখেন নাই, যান বাহন জানিতেন না, ভোগবিলাসের দাস ছিলেন না, যেমন তেমন করিয়া উদরান্ন চলিয়া গেলেই হইল, তাহাতেই পরম সন্তুষ্ট চিত্তে আপনার কর্ত্তব্য কর্ম্মে সর্ব্বদা নিরত থাকিতেন। এই সেদিনকার একটী কথা বলি। নবদ্বীপে রমানাথ বলিয়া একজন প্রগাঢ় নৈয়ায়িক পণ্ডিত ছিলেন। একদিন রমানাথ চতুষ্পাঠীতে বসিয়া সম্মুখে গ্রন্থ রাখিয়া চিন্তায় একাগ্রমনা হইয়া আছেন। এমত সময় তাহার পশ্চাদ্দেশে কৃষ্ণনগরের তদানীন্তন রাজা সমুপস্থিত। রমানাথ বাহ্যজ্ঞান শূন্য হইয়া