পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
১৯

আমার কোন অভাব নাই।” শুনিলেন ব্রাহ্মণের কি উত্তর; তিস্তিড়ীপত্রোপকরণে জীবন রক্ষা করেন তাহাতেই সন্তুষ্ট। আর অবস্থাটী কিরূপ। রাজা স্বয়ং অভাব আছে কি না সেবিষয়ে জিজ্ঞাসু। এখন কি আমি স্পষ্ট বলিতে পারিয়াছি যথার্থ ব্রাহ্মণ বলিতে কি বুঝি, কি চাই। ব্রাহ্মণ অর্থের দাস হইবে না, পদের দাস হইবে না, পরের দাস হইবে না; ব্রাহ্মণকে দাসত্বে আনে কে? অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বস্ত্রাঞ্চলে কাহার সাধ্য আবদ্ধ রাখে। সে সমস্ত দগ্ধ করিয়া স্বমূর্ত্তি ধারণ করিবেই করিবে। নিজের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করিবে, তেজ দেখাইবে।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নির্লোভতা সম্বন্ধে অপর একটী কথা বলি। যখন বেতাল পঞ্চবিংশতি প্রথম প্রচারিত হয় সে সময় বাঙ্গালা ভাষায় সে খানি প্রধান পুস্তক ছিল। এখনও যে ইহার স্থান কিছু নীচু হইয়াছে আমার তাহা বোধ হয় না। বাঙ্গালা ভাষার উচ্চতর পরীক্ষায় উহা নির্দ্দিষ্ট পাঠ্য পুস্তক ছিল। যথেষ্ট বিক্রয় হইত। এক দিন তাঁহার জনৈক