পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
২৫

শোভা, সে সৌন্দর্য্য তাঁহার নিজের। যে রমণী প্রকৃত সুন্দরী, তাঁহাকে কতকগুলি রত্নালঙ্কারে বিভূষিত করিলে প্রকৃতির অপমাননা করা হয়, যেন তত সুন্দরী দেখায় না। সৌন্দর্য্যের খুঁত ঢাকিবার জন্যই বস্ত্রালঙ্কারের প্রয়োজন। যাহার সে খুঁত নাই তাঁহার আবার বস্ত্রালঙ্কারের আড়ম্বর কেন? যে ব্যক্তি, কার্য্যগুণে, চরিত্র বলে, কীর্ত্তিকলাপে, গুণাধিক্যে স্বনামখ্যাত, তাঁহার বেশভূষার আড়ম্বরের দরকার কি? বেশভূষা জনসমাজে তাঁহার আদর বাড়াইবে না। কিন্তু যাহার নিজের সে গুণগরিমা নাই তাহার মনে হয়, হয়ত বাহ্য আড়ম্বরে তাহার মূল্য বৃদ্ধি করিবে। কিন্তু তাহা কি হয়? মানুষ পুতুল নয় যে বাহিরের চাক্‌চিক্য বাড়িলে, চক্ষে চটক দেখাইতে পারিলে, নিজের শোভা দেখাইতে পারিলে লোকে চমৎকৃত হইবে। লোকে জীবন্ত মানুষের কাছে মনুষ্যত্ব চায়, যেখানে তাহা পায় সেখানে আদরঅপেক্ষা স্বতঃই করে, আর যেখানে তাহার অভাব যেখানে রঙ্গে রাঙ্গ্‌তায়, পোষাকে আস-