পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

ন্যায় আমাদের ব্যবসাদারীর জন্য যতটুকু করিতে হয় সাজ পাঠ ঠিক যেন ততটুকুই থাকে। “রাণীগিরির ব্যবসাদারী” কথাটা সর্ব্বদা মনে রাখা চাই। তাহা হইলে কতকটা পরিত্রাণের উপায়। “রাণী গিরি” ভিতরে ঢুকিলেই আমরা মজিয়াছি। বিদ্যাসাগর মহাশয় পুতুল বাজির সং সাজিতেন না। তিনি জীবন্ত মানুষ ছিলেন, আমাদের ন্যায় নির্জীব পুত্তলিকাবৎ ছিলেন না। কতবার কত লোক চেষ্টা করিয়াও তাঁহাকে পুতুল সাজাইতে পারে নাই। সুতরাং তাঁহার পক্ষে ভিতর বাহির ছিল না। বাহিরটা যাহা ইহউক, ভিতরের চাল চলনটায় তাঁহার উপদেশের অনুসরণ করিতে পারিলে তাঁহার আশীর্ব্বাদে আমরা সুখে থাকিতে পারি।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই আড়ম্বরশূন্য সামান্য বেশভূষা তাঁহার কিসের পরিচায়ক? সরলতার-না অহঙ্কারের? অনেকের এ কথা অনেক সময় মনে উঠিতে পারে, অন্ততঃ আমার একদিন এ দুর্ভাবনা হইয়াছিল। এক খানি